সরেজমিনে দেখা যায়, অনেক শিশুই রেললাইনের উপর খেলাধুলা করছে। ট্রেনের হুইসেল পেয়েই শুরু হয়ে গেল ছোটাছুটি। আবার ট্রেন চলে যেতেই আগের মতো খেলতে শুরু করে তারা।
পেটের দায়ে কাজে ব্যস্ত থাকলেও কাজের পাশাপাশি এসব শিশুদের নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন বলে জানান কয়েকজন অভিভাবক।
এ বস্তিতে বসবাসকারী ময়না (৪২) বলেন, “চব্বিশ ঘণ্টা ট্রেন। সেকেন্ডে সেকেন্ডে ট্রেন। ভয় না? খুব টেনশনে থাকি, যতক্ষণ পারি এই বাচ্চা নিয়ে বসে থাকতে হয়।”
এসব শিশুদের অনেকেই স্কুলেই যায় না। এই বস্তিতেই মায়ের সঙ্গে থাকে শিশু আয়েশা। অর্থের অভাবে সুযোগ হয়নি পড়ার। আয়েশা বলে, “ কাজ করি মানুষের বাসায়, বাবা নাই তাই মা পড়াইতে পারে নাই।”
আয়েশার মা রওশনা বেগম(৫৫) বলেন, “ট্যাকা পয়সা নাই দেইখা পোলাপাইনরে কামে দিয়া দিছি।”
আবার এ বস্তিতে দুঃসহ জীবন যাপনের মধ্যেও কেউ কেউ স্বপ্ন দেখে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করানোর। দুই সন্তানকে স্কুলে পড়ানোর ইচ্ছা আছে বলে জানান জয়নাল (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, “জানুয়ারিতে ভর্তি করানোর ইচ্ছা আছে।”