বর্ষার সময় হওয়ায় কেনাকাটায় ভোগান্তি ছিল বেশ। কিন্তু শিশুদের উৎসাহের একটুও কমতি নেই।
লালবাগ থেকে নিউমার্কেটে মায়ের সাথে কেনাকাটা করতে এসেছে নয় বছরের শিমু। টপস আর জিন্স কিনে ফেলেছে সে। নতুন কাপড়ের প্যাকেট হাতে বেজায় খুশি শিমু। নিউমার্কেটের ঈদ কেনাকাটায় শিমুর মতো আরও এমন অনেক শিশুকে দেখা গেল বাবা মার সাথে নতুন পোশাকের মোড়ক হাতে হাসি মুখে ঘুরে বেড়াতে।
ভাইয়া, ভা্বির সাথে এসেছিল শাওন। ওর বয়স ছয় বছর। সে জানালো এবার তার কেনাকাটার তালিকায় আছে, জুতা, প্যান্ট, শার্ট।
মায়ের সাথে আসা ইফাত কিনেছে দুটো গেঞ্জি, দুটো প্যান্টে আর একজোড়া জুতো। সে জানায়, এবার সে সব কিছু জোড়ায় জোড়ায় কিনেছে।
মোহাম্মদপুর থেকে মায়ের আসা জুরাইয়া জানায়, এবারের ঈদে দুইটা জামা আর জুতো কিনেছে।
মোহাম্মদপুর থেকে আসা শিশু জুরাইয়ার মা শামো বলেন, “আমরা দর কষাকষি করে কমের মধ্যেই জিনিস কিনতে পেরেছি।দাম আরও কম হলে নিম্ন মধ্যবিত্তরাও সাচ্ছন্দ্যে কিনতে পারতো।”
আরেক অভিভাবক রফিক উদ্দিন বলছেন, “ঈদ উপলক্ষে দাম একটু বেশিই। কিন্তু বাচ্চাকে খুশি করতে সাধ্যের মধ্যেই কিনেছি।”
তবে সন্তুষ্ট নন বিক্রেতারা। তাদের অনুযোগ এবার বিক্রি বাট্টা কম। এ ব্যাপারে বিক্রেতা মোহাম্মদ আজাদুর রহমান লিটু বলেন, এবার বিক্রির অবস্থা খুব খারাপ। সারাদিন খুব কম মানুষই আসে কেনাকাটা করতে।”
বিক্রেতা মোহাম্মদ নিজাম রহমান জানাচ্ছেন একটু ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, বৃষ্টি আর ডেঙ্গুর কারণে বিক্রি কম।