যার বয়স এখনও ১৮ বছর হয়নি, যে লিখতে পারে, শিশুদের কথা সবাইকে বলার আগ্রহ যার আছে, সেই যুক্ত হতে পারে হ্যালোর শিশু সাংবাদিকের দলে।
হ্যালোর ওয়েবসাইটে (http://reg.hello.bdnews24.com ) একটি ফরম পূরণ করে নিবন্ধনের আবেদন করা যাবে সহজেই। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ওয়েবসাইট (https://bangla.bdnews24.com/) থেকেও যাওয়া যাবে হ্যালোর ওয়েবসাইটে।
শিশুদের নিয়ে শিশুদের জন্য বিশেষায়িত ওয়েবসাইট হ্যালোর (http://hello.bdnews24.com/) যাত্রা শুরু হয় ২০১৩ সালের ৩১ মার্চ। হ্যালোর জন্য সংবাদ সংগ্রহ থেকে পরিবেশন পর্যন্ত সব কাজেই যুক্ত রয়েছে শিশু ও কিশোর সাংবাদিকরা।
সংবাদভিত্তিক এই ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করছে দেশের প্রথম ইন্টারনেট সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। জাতিসংঘ শিশু তহবিল- ইউনিসেফ এবারও এ আয়োজনের অংশীদার।
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন হ্যালোর নির্বাহী সম্পাদক মুজতবা হাকিম প্লেটো। ইউনিসেফের পক্ষে ছিলেন কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট ফারিয়া সেলিম।
লিখিত বক্তব্যে মুজতবা হাকিম প্লেটো বলেন, “দেশের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ শিশু হলেও মূলধারার গণমাধ্যমে শিশুদের বিভিন্ন বিষয় খুব কমই স্থান পায়। এক হিসেবে দেখা গেছে এই বিপুল জনসংখ্যার ক্ষুদে নাগরিকদের বিষয় গণমাধ্যমে মাত্র ৩ থেকে ৪ শতাংশ জায়গা পেয়ে থাকে।
“সেজন্য শিশুদের চোখ দিয়ে উঠে আসা সমাজের নানা বিষয় হ্যালোতে প্রতিনিয়ত প্রকাশ পাচ্ছে। শিশুরা শুধুই সংবাদ নয়, সংবাদের পাশাপাশি নিবন্ধ, মতামত লিখতে পারে। আবার শুধু লেখার পাশাপাশি ছবির মাধ্যমে অথবা ভিডিও করেও তাদের চিন্তা ফুটিয়ে তুলতে পারে।”
হ্যালোর লেখা ও ভিডিও কনটেন্ট সম্পাদনার পাশাপাশি শিশু সাংবাদিকদের নিয়মিত পরিচর্যা করেন একদল দক্ষ সম্পাদক। ফলে শিশুরা দিনে দিনে লেখালেখিতে আরও দক্ষ হয়ে ওঠে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
ইউনিসেফের কমিউনিকেশন স্পেশালিস্ট ফারিয়া বলেন, “শিশুদের কথা আমরা বড়রা বলে দেই। কিন্তু আমরা তাদের কাছ থেকেও শুনতে চাই, তাদের সমস্যার কথা শুনতে চাই। এ জায়গা থেকেই উদ্যোগটা নেওয়া। আমরা চাই শিশুদের কথা গণমাধম্যে তাদের ভাষায় উঠে আসুক।”
তিনি বলেন, “হ্যালোর সাইট ভিজিট করলে যে কেউ দেখতে পাবে শিশুরা কত সুন্দর করে দক্ষতার সঙ্গে তাদের কাজ করছে। এ জন্য আমি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সাধুবাদ জানাই।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারই প্রথম শিশু সাংবাদিকদের জাতীয় উৎসব করার পরিকল্পনা নিয়েছে হ্যালো। সেখানে নির্বাচিত শিশুদের জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত করা হবে।
ঢাকা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, নরসিংদী, রাজবাড়ি, শরীয়তপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, নড়াইল, ময়মনসিংহ, বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, রাজশাহী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, পঞ্চগড়, বরিশাল, পিরোজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার ও ফেনী।