আশাঅনুরূপ ফলন হলেও ধানকাটা শ্রমিকের মজুরী ও কম দাম কেড়ে নিয়েছে কৃষকের মুখের হাসি৷
সম্প্রতি জেলার কালিহাতি ও বাসাইলে পাকা ধানে আগুন দিয়ে এর প্রতিবাদও জানিয়েছেন কৃষক।
উল্লেখ্য, এবার শ্রমিকের মজুরী ৯০০ থেকে ৮০০ টাকা হলেও ধানের দাম নিম্নমুখী। প্রতিমণ নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকায়।
ধানচাষী মোজাফফর শিকদার হ্যালোকে বলেন, চলতি মৌসুমে ৮৪ ডিসিমল জমিতে ধান লাগিয়েছি। ধান ঘরে তুলতে হলে খরচ হবে ৩০ থেকে ৩৪ হাজার টাকা। ৫০০ টাকা মণ ধান বিক্রি করে খরচ কখনোই উঠবে না।
আরেক কৃষক এস এম শফিক বলেন, "কৃষক বাচঁলে দেশ বাঁচবে, এবার ধান বুনে সেই কৃষক মরা যাচ্ছে।
“ধানের দাম ৫০০ টাকা মণ আর কমলার এক দিনের মজুরি ৮০০ তাইলে কৃষক বাচঁবে কীভাবে? ভাবছি আগামীতে ধান চাষ করব না।”
বগুড়া থেকে কাজ করতে এসেছেন দিনমজুর মো.আকবর আলী। তিনি বলেন, "কাজের কষ্ট অনুযায়ী বর্তমান মজুরি ঠিকই আছে। তবে ধানের দাম বাড়ানো উচিত, গেরস্তেরও তো বাঁচতে হবে৷”
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “এই সময়ে ধানের বাজার কিছুটা কম থাকলেও কৃষক যদি ধান সংরক্ষণ করে রাখে তবে কদিন পরেই অধিক দাম পাবে।”
এবার জেলার ১২টি উপজেলায় এক লক্ষ ৭১ হাজার ৭০২ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে।