সকাল-সন্ধ্যায় গায়ে গরম কাপড় জড়িয়ে ধোঁয়া ওঠা ‘ভাপা’ পিঠার স্বাদ পেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। চুলার পাড়ে বসে মায়ের হাতের সেই পিঠার স্বাদ চিরন্তন। কিন্তু ব্যস্ততা দেয় না অবসর, অনেকেরই ফেরা হয় না মায়ের কোলে। পাওয়ায় যায় না পিঠার স্বাদ। ব্যস্ত নাগরিক জীবনে ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর উৎসবও নেই বললেই চলে। এজন্য বাইরের দোকানের পিঠাই একমাত্র ভরসা।
শেরপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার মোড়ে-মোড়ে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান। এ সুযোগে বাড়তি টাকাও আয় হচ্ছে অনেকের।
বিভিন্ন দোকানে তৈরি হচ্ছে চিতই পিঠা, ভাপা পিঠা, তেল পিঠা ইত্যাদি। কেউ কেউ সারাদিন আবার কেউ কেউ সকাল-বিকাল পিঠা তৈরি ও বিক্রি করেন।
তাদের একটি পিঠা পাঁচ থেকে ১০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। রিকশা চালক, দিনমজুর, শিশু-কিশোর, চাকুরীজীবি ও ছাত্র-ছাত্রীসহ শহরের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ হচ্ছে এসব পিঠার দোকানের প্রধান ক্রেতা।
প্রতিদিন দুবেলায় প্রায় ১৪-১৫ কেজি চালের পিঠা বিক্রি করেন একেকজন দোকানি।