জানা যায়, ১৯৮৬ সাল থেকে বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহের রোববার পশুর হাট বসা শুরু হয়। এতে করে শিক্ষার পরিবেশ ব্যহত হয় বলে অভিযোগ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয়ের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, মাঠজুড়ে গরু ছাগলের বর্জ্য, গর্ত, নালা-নর্দমাও রয়েছে।
বিদ্যালয়টির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী আসাদ হ্যালোকে বলে, "মাঠের মধ্যে কাদা থাকায় আমরা খেলাধুলা করতে পারি না। স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতেই কষ্ট হয়।”
দশম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী সানোয়ার হোসেন সানি বলে,"কাদা ও গোবরের দুর্গন্ধে ক্লাসে থাকা খুব কঠিন। অনেক সময় পশু শ্রেণি কক্ষের বারান্দায় রাখা হয়। কিন্তু পশুর গোবর ও আবর্জনা ঠিকমতো পরিষ্কার করে না।”
একজন অভিভাবক বলেন, "এই এলাকার সবচেয়ে বড় পশুর হাট স্কুল মাঠে বসে।
“যে কারণে অনেক গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া ওই হাটে কেনাবেচা হয়। এ কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমনি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশেও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।”
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, “৩০ বছর ধরে বিদ্যালয় মাঠে নিয়মিত পশুর হাট বসছে।
“হাট স্থানান্তরের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর ২০১৫ সালে আবেদন করেছিলাম। কিন্তু বিষয়টির কোনো অগ্রগতি হয়নি।”
ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহমেদ বলেন, “স্কুল মাঠে হাট বসানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”