টাঙ্গাইল জেলা প্রাশাসন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে যুদ্ধ স্মরণিকা নামে এই কমপ্লেক্সটি তৈরি করে।
কমপ্লেক্সে কোনো স্মৃতি এমনকি বঙ্গবন্ধুর কোনো ছবিও না থাকায় ক্ষুব্ধ মুক্তিযোদ্ধারা।
সাটিয়াচড়া-গোড়ান প্রতিরোধ যুদ্ধের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবু তাহের হ্যালোকে বলেন, "এখনই যদি স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ না নেওয়া হয় তবে এক সময় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি হারিয়ে যাবে।”
দ্রুত স্মৃতি সংরক্ষণের দাবি মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলীরও।
স্থানীয় শিবনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী তিথি সরকার বলে, "আমাদের সাটিয়াচড়া-গোড়ানে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে সেই সম্পর্কে আমরা তেমন কিছুই জানি না। সরকারের কাছে আবেদন জানাই স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য যেন যথাযথ ব্যাবস্থা নেওয়া হয়।”
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে সবার জানা উচিত বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের। তাই মুক্তিযুদ্ধের কমপ্লেক্স ভবনে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কের বই থাকলে সবাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে বলে মনে করেন একই শ্রেণির সাদিয়া সুলতানা তিন্নি।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন হ্যালোকে বলেন, "মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ একটি ভালো উদ্যোগ। স্মৃতি সংরক্ষণ করা গেলে আমার স্কুলের শিক্ষার্থীরা পরির্দশন করে মুক্তিযুদ্ধের আসল ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।”
ভবনের সভাপতি গোলাম নওজয়াব পাওয়ার চৌধুরী বলেন, "আর্থিক সংকটের জন্য মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার সুদৃষ্টি দিলে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ সম্ভব।
নিচের তলার দুই রুম ভাড়া দিয়ে চলছে ভবন রক্ষণাবেক্ষনের কাজ চলছে বলে তিনি জানান।