তার ছেলে ডা. সৈয়দ আব্দুল আদিল রূপস জানায়, তার বাবা শেরপুরের বাসায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ১০ দিন আগে ঢাকায় নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “গত চার দিনে বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। শনিবার পর্যন্ত অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে গেলেও রোবরাব সকাল থেকে অবস্থা অবনতির দিকে।”
সৈয়দ আব্দুল হান্নান ১৯৩২ সালে ২৫ ডিসেম্বর শেরপুরে জন্ম নেন। বাবা সৈয়দ আব্দুল হালিম, মা রাবেয়া খাতুন।
১৯৫২ সালে বগুড়ার আজিজুল হক কলেজ থেকে তিনি আইএসসি পাশ করেন এবং পরবর্তিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৬ সালে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে এমএ এবং ১৯৬৪ সালে এলএলবি পাশ করেন । ১৯৬৪ সালের ১৬ জুলাই তিনি শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন এবং ১৯৯৯ সালের ৩০ জানুয়ারি ওই কলেজ থেকেই অবসর নেন।
ভাষা সৈনিক ও প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ হিসেবে সৈয়দ আব্দুল হান্নান শেরপুরের একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। ১৯৫২ সালে বগুড়ার আজিজুল হক কলেজে পড়ার সময় তিনি একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে ভাষা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। সেসময় শেরপুরের সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বে যে ক’জন তরুণ ছিলেন তাদের অন্যতম একজন তিনি।
তার বড় ভাই ছাত্র নেতা সৈয়দ আব্দুস সোবহান ভাষা আন্দোলনে অংশ নেয়ার অপরাধে শেরপুর থেকে গ্রেফতার হন। ভাষা আন্দোলন ছাড়াও তিনি ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুথান এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার ও তাদের দোসরদের হাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতিত হন তিনি। ২০০৫ সালে ভাষাসংগ্রামী হিসেবে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্মানে ভূষিত হন।