হ্যালোতে পাঠান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনই এক সতর্ক বার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রধান এদোয়ার্দ বেগবেদার বলেছেন, ‘ইতোমধ্যে সৃষ্ট ভয়ানক মানবিক পরিস্থিতি ঘূর্ণিঝড় ও মৌসুমি ঋতুতে আরও ভয়াবহ রুপ ধারণ করতে পারে। কয়েক লাখ শিশু ভয়ঙ্কর পরিবেশে বাস করছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘অনিরাপদ খাবার পানি, অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন ব্যবস্থা ও দুর্বল স্বাস্থ্যবিধির কারণে কলেরা ও হেপাটাইটিস ই এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে। এসব রোগে গর্ভবতী নারী ও তাদের সন্তানের মৃত্যু হতে পারে।
‘সেখানে জমে থাকা পানিতে ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী মশার বিস্তারও ঘটতে পারে। শিশুদের এসব রোগবালাই থেকে রক্ষা করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শরণার্থী শিবিরে প্রায় চার হাজার মানুষ ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২৪ শিশুসহ ৩২ জন। ইউনিসেফ ও সহযোগীরা টিকা কার্যক্রম শুরু করেছে। সবাইকে নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন সুবিধার আওতায় আনার চেষ্টা করছে তারা। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সেখানে রোগের ঝুঁকি বেড়ে গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ঝুঁকি অনেক বাড়বে এবং এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিশুরা।
ইউনিসেফ বলছে, আগামী মার্চে মৌসুমি ঋতু শুরু হওয়ার আগে প্রস্তুতির জন্য খুব কম সময়ই পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশে সাধারণত মার্চ থেকে জুলাই ও সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর এই দুই মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন জলোচ্ছ্বাস হয়ে থাকে। তবে মে ও অক্টোবর মাসে বড় ধরণের ঝড় হয়। এছাড়াও জুন মাসে নিয়মিত মৌসুমি বৃষ্টিপাত ভয়াবহ ভূমিধস ও বন্যার সৃষ্টি করতে পারে।
গত বছরের মে মাসে ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে এই এলাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের প্রায় এক চতুর্থাংশ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে যায় এবং ব্যাপক ক্ষতি হয়। আহত হয় অনেক মানুষ।
ঝড় বা বন্যায় শরণার্থীদের বাসস্থান, পানি ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন ও অবকাঠামোগত সুবিধা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে ইউনিসেফ।