হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৪ ঘণ্টায় দেড় শতাধিক শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে গত সপ্তাহের কোনো কোনো দিনে। তবে জায়গা সংকটের কারণে শিশু রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগে উঠেছে।
সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, ৩০ শয্যার ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে ১৩০ জন। এর মধ্যে ৭০ জন ডায়রিয়া এবং ৪০ জন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
সদর হাসপাতালে শয্যা না থাকায় মেঝেতে রেখে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। বারান্দায় বিছানার লাইন শিশু ওয়ার্ডের বারান্দা পেরিয়ে চলে গিয়েছে গাইনি ওয়ার্ডের বারান্দা পর্যন্ত।
জায়গা সংকট ছাড়াও জনবল সঙ্কটের কারণে চিকিৎসকরা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. শাহজাহান নেওয়াজ জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে শীতকালে সাধারণত ডায়রিয়া বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, “এসময় বাসি-ঠাণ্ডা খাবার খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। তাই শিশুকে সতেজ খাবার ও হালকা গরম পানি খাওয়াতে হবে।”
সিভিল সার্জন ডা. খায়রুল কবির বলেন, শীতকালে মুখে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত।
এসময় ঠাণ্ডা পানি ও খেজুরের রস পরিহার করার উপদেশ দেন তিনি। পাশাপাশি ফলমূল ধুয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন।