সম্প্রতি জেনেভা প্যালাইসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করেছেন ইউনিসেফ মুখপাত্র মেরিকসি মেরকাডো।
সংবাদ বিজ্ঞপিতে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত তহবিল ছাড়া শরণার্থী শিশুদের জীবনযাত্রার প্রয়োজনীয় সেবা চালিয়ে যাওয়া সক্ষম হবে না।
জরুরি সহায়তা হিসেবে ইউনিসেফ পরবর্তী ছয় মাসের জন্যে ৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ১১ শতাংশ পেয়েছে।
দাতাদের মধ্যে রয়েছে ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর দি কোঅর্ডিনেশন অফ হিউম্যানাটরিয়ান অ্যাফেয়ার্সের সেন্ট্রাল ইমার্জেন্সি রিলিফ ফান্ড, কানাডা, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, কিং আব্দুল্লাহ ফাউন্ডেশন এন্ড এডুকেশনসহ বিভিন্ন দেশের জাতিসংঘ কমিটি পাশাপাশি।
তহবিল না পেলে, ৪০ হাজারের বেশি মানুষের চিকিৎসা ও ট্রাকে পানি বিতরণ বন্ধ করতে হবে যারা নভেম্বরের পর নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত হবে।
ইউনিসেফ ১৮০ টি ওয়াটার পয়েন্ট তৈরি করেছে। কিন্তু, সাড়ে তিন লাখ মানুষের পানি প্রয়োজন মেটাতে অতিরিক্ত এক হাজার চারশ ওয়াটার পয়েন্ট নির্মাণ সম্ভব হবে না।
এখন পর্যন্ত তিন হাজার সাতশ শৌচাগার স্থাপন করলেও, আড়াই লাখ মানুষের জন্যে অতিরিক্ত ১২ হাজার শৌচাগার তৈরিও সম্ভব নয়।
অপুষ্টিতে ভোগা ১৫ হাজার শিশুর জন্যে চিকিৎসা অনুযায়ী খাবার দেওয়া সম্ভব হবে না।
৮০ হাজার শিশু প্রাথমিক সাস্থ্য সেবার সুযোগ ও এক লাখ নবাগত শরণার্থী শিশুদের হাম, পোলিও জাতীয় রোগের টিকা প্রদান সম্ভব হবে না।
চলতি বছর মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে রক্ষা পেতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া পাঁচ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর ৬০ ভাগই শিশু।