পরিবারের সচ্ছলতা ফেরাতে লেখাপড়ার পাশাপাশি শীতলপাটি বোনার কাজ করছে ঝালকাঠির এক গ্রামের শিশুরা।
Published : 18 Jul 2017, 04:54 PM
সম্প্রতি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বাড়ির বড় সদস্যদের সঙ্গে ঘরের দাওয়ায় বসে পাটি বোনার কাজ করছে শিশুরা। এই বয়সেই তাদের কেউ কেউ হয়ে উঠেছে দক্ষ কারিগর। কেউ বা এখনও শিখছে মা বা দিদির কাছে।
পাটি বুনতে বুনতে হ্যালোর সঙ্গে কথা বলে কয়েক জন শিশু। ওরা জানায়, স্কুল শেষে অবসরে পাটি বোনার কাজ করে।
জেলার রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগর ইউনিয়নের এ গ্রামটি প্রাচীনকাল থেকেই শীতলপাটি শিল্পের জন্য বিখ্যাত। তাই গ্রামটিকে শীতলপাটির গ্রামও বলা হয়।
বংশের ধারা রক্ষা করে এখনও প্রায় শত পরিবার এ শিল্পের সাথে জড়িত। গ্রীষ্ম ও বর্ষায় চলে পাটি বোনার কাজ। স্থানীয় ভাষায় পাইত্রা নামে পরিচিত এক শ্রেণির তৃণ দিয়ে তৈরি হয় শীতলপাটি।
কারিগররা জানান, একটা পাটি বুনতে চার থেকে পাঁচ দিন সময় লাগে। তবে সঠিক মূল্য থেকে তারা বঞ্চিত। পাইকাররা তাদের কাছ থেকে কম দামে কিনে শহরে বেশি দামে বিক্রি করেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।
শীতলপাটি শিল্প নিয়ে বিসিক কর্মকর্তা বলেন, “এই শিল্পের সবচেয়ে বড় সমস্যা বাজারজাতকরণে। এর প্রচার নেই।”
তবে সরকার বিসিকের উদ্যোগে হওয়া মেলায় এই শীতলপাটির কারিগরদের তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রির ব্যবস্থা করেছে বলে জানান তিনি।