পিরোজপুরের জিয়ানগরে একটি প্রাইমারি স্কুলভবন পরিত্যক্ত ঘোষণার পরে মাঠে ক্লাস চলছে। কিন্তু বৃষ্টির দিনে ঝুঁকি নিয়েই পাঠদান চলছে।
Published : 26 Sep 2016, 07:27 PM
উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের উত্তর চণ্ডিপুর দুই নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দেড় বছর যাবত বেহাল দশায়। ফলে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে গেছে আশংকাজনকভাবে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোতালেব হোসেন জানান, ১৯৯৫ সালে বিদ্যালয়টি নির্মাণ হলেও ২০ বছরের মাথায় ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিটি কক্ষ ও বরান্দার বিভিন্ন স্থানে ফাটল ধরাসহ পলেস্তারা খসে পড়েছে। লিংটন গুলো ধসে পড়ে লোহার রড বেড়িয়ে গেছে। ভেঙে গেছে প্রতিটি কক্ষের দরজা জানালা। ক্লাস ছাদের পলেস্তারা খসে ছাত্রছাত্রীদের আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে ভবনটির ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ায় বিদ্যালয়ের চেয়ার টেবিল, আসবাবপত্র ও বই খাতা ভিজে নস্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এ বেহাল অবস্থার কারণে ২৫ থেকে ৩০ জনের বেশি স্কুলে আসছে না। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ভয়ে তাদের সন্তানদের নিয়মিত স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। কখনো বিদ্যালয়ের সামনে খোলা আকশের নিচে পাঠদান চালাতে হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টি এলে নিরুপায় হয়ে পরিত্যক্ত ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস নিতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) পূরবী রাণী দাস এ ব্যাপারে বলেন, 'এক সপ্তাহ আগে আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। ভবনটির অবকাঠামোগত অবস্থা খুবই বেহাল হয়ে পড়ায় এটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।'
তবে মেরামতের ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।