মুক্তি হত্যা: স্কুলের পথে কিশোরীর নিরাপত্তার দাবি (ভিডিওসহ)

ঘটনার পরে মুক্তির স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নেত্রকোণায় স্কুল ছাত্রী মুক্তি রাণী বর্মণ হত্যার ঘটনায় অনেক অভিভাবকই মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হবে বলে মনে করছেন সচেতন এলাকাবাসী।

তারা হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।

একজন অভিভাবক হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিলেন, “এই হত্যাকাণ্ড তাদের মধ্যে আরও ভীতি তৈরি করতে চায়, আমরা মনে করি। এই যে আপনারা দেখছেন রাস্তা দিয়ে মেয়েরা যায়, তারা তো নিরুৎসাহিত হবে গার্ডিয়ান। যে তাকে আর স্কুলে পাঠানোর দরকার নাই। স্কুলে পাঠানো তো নিরাপদ না।”

প্রশাসনকে বার বার বলা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “স্কুল চলাকালীন সময়ে একটা হইলে নয়টা থেকে ১০টার মধ্যে, আরেকটা বিকালে যখন স্কুল ছুটি হয় তিনটা-চারটা। যেখানে যেখানে স্কুল আছে, টার্নিং কিছু পয়েন্ট আছে, কিছু স্পট আছে যেখানে ইভটিজাররা আড্ডা মারে মেয়েদের উত্যক্ত করে। সেই জায়গাগুলোতে যদি পুলিশি টহল জোরদার করা যেত তাইলে আজকে আমাদের এই ইনসিডিন্টের মুখোমুখি হতে হতো না। শুধু এইটার ঘটনার ন্যায় বিচার না, এইটার একটা পারমানেন্ট সল্যুশন আমরা চাই।”

আরেকজন বলেন, “মুক্তি আমার ভাস্তি (ভতিজি)। এইটা নিয়ে আমরা আতঙ্কিত।”

মঙ্গলবার নেত্রকোণার বারহাট্টায় বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর ছালিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মুক্তি রানি বর্মণ স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় একই গ্রামের বখাটে ছেলে কাউছার মিয়ার হাতে খুন হয়।

ঘটনার পরে মুক্তির স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে নেত্রকোণার বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠন এবং মুক্তির স্বজন, সহপাঠী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করে মানববন্ধন করেছে।

বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খোকন কুমার সাহা হ্যালোকে বলেন, “তাদের যে আতঙ্ক নিরসনে আমাদের গোয়েন্দা টিমসহ পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে। আশা করি কোনো ধরনের অপতৎপরতা কেউ চালাতে পারবে না। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে নিয়েছি, এটা অব্যাহত থাকবে।”

প্রতিবেদকের বয়স: ১২। জেলা: নেত্রকোণা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com