পর্যাপ্ত বই থাকার পরও কুড়িগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরিতে পাঠক আসে না বললেই চলে বলে আক্ষেপ করছিলেন এর সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দীন।
সম্প্রতি পাঠাগারটি ঘুরতে গেলে তার সঙ্গে কথা হয়।
মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, “বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পাঠাগার চালু থাকলেও হাতে গোনা কয়েক জন ছাড়া কেউ আসে না।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্ররা চাইলে এখানে এসে বই নিয়ে বসে সময় কাটাতে পারে, পড়তে পারে। কিন্তু না তা করে মোবাইল নিয়ে পার্কে, বিভিন্ন মোড়ে মোরে বসে আড্ডা দেয়।”
এই প্রতিবেদন তৈরির সময় পাঠাগারটিতে কোনো পাঠক আসতে দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রামের কয়েক জন কিশোর কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
মঞ্জুর কাদের উৎস নামের এক কিশোর বলে, “যারা বই পড়ে তারা সরকারি গণ গ্রন্থাগারে যায়। এখানে এত বছরের এক পুরনো লাইব্রেরি আছে কিন্তু এর প্রচারণা নাই। অনেকেই জানে না এটার কথা। এর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বোঝাও যায় না এটা খোলা নাকি বন্ধ! বেশির ভাগ সময় বন্ধই থাকে।”
তবে সংগ্রামী ইলা বর্ষণ নামের এক কিশোরী মনে করে নতুন ও জনপ্রিয় লেখকের বই আনলে তরুণ পাঠকরা আগ্রহ পাবে, এখানে আসবে।
মাহিন নামের আরেক কিশোর বলে, “এই লাইব্রেরিতে এসেছি, পড়েছিও। কিন্তু আমার মনে হয় এখানে বইয়ের অভাব রয়েছে। পাঠককে আগ্রহী করতে কালেকশন বাড়াতে হবে।”
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: কুড়িগ্রাম।