অভিশাপের নাম বাল্যবিয়ে (ভিডিওসহ)

“বাল্যবিয়ের কারণে মেয়েদের স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা হচ্ছে। অতএব আমরা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করব।”

বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে শতভাগ মুক্ত হতে পারেনি দেশ। দারিদ্রসহ নানা কারণে এখনো ঘটছে বাল্যবিয়ে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

ইথুন নামে এক শিক্ষার্থী বলছিল, “দেশের বর্তমান সময়ে একটি সামাজিক সমস্যা হলো বাল্যবিয়ে। যেটি আমাদের দেশে অধিক মাত্রায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনারা যারা দেখবেন আশে পাশে বাল্যবিয়ে হচ্ছে আপনারা সকলেই প্রশাসনকে জানাবেন।“

তাসনিম রসনি নামে আরেক শিক্ষার্থী বলে, “মেয়েদের ১৮ আর ছেলেদের বছরের নিচে বিয়ে হলে সেটিকে বাল্যবিয়ে হিসাবে গণনা করা হয়। বাল্যবিয়ের ফলে ছেলে ও মেয়ে উভয়ের ব্যক্তিগত সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে সমস্যা সৃষ্টি হয়। আমাদের চেষ্টা করা উচিত বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করা।”

বাল্যবিয়ে নারীকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে জানিয়ে তৃনা মিত্র নামে আরেক শিক্ষার্থী বলে, “শুধু তাই নয় আমাদের দেশ বাল্যবিয়ের ফলে উন্নত থেকে পিছিয়ে আছে। অতএব আমাদের বাল্যবিবাহ থেকে দূরে থাকতে হবে।“

জাহানারা আলম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলে, “বাল্যবিয়ের কারণে মেয়েদের স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা হচ্ছে। অতএব আমরা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করব।”

জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ ২০১৮ সালে এক প্রতিবেদনে বলে, “২০৩০ সালের মধ্যে শিশুবিয়ে বন্ধ করতে অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য মাত্রায় দ্রুততর করতে হবে। আরো দ্রুততর করা সম্ভব না হলে ২০৩০ সাল নাগাদ আরও ১৫ কোটির বেশি মেয়ে তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে করতে বাধ্য হবে।”

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)২০২২ সালে একটি জরিপের ফলাফল তুলে ধরে। তারা জানায়, দেশে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী মেয়েদের বিয়ের হার ২০২১ সালে আগের বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। কোভিডের প্রাদুর্ভাবে ওই দুই বছর এই বয়সী প্রায় ২৭ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয়েছে।

প্রতিবেদকের বয়স: ১২। জেলা: সাতক্ষীরা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com