ফেনীর স্থানীয় এক পাঠাগারের সঙ্গে যুক্ত কামাল উদ্দিন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর জহুর হোসেন চৌধুরী গ্রন্থাগারটিতে নিয়মিত সময় দেন তিনি।
Published : 01 Jul 2016, 03:11 PM
পাঠাভ্যাস ও এর গুরুত্ব নিয়ে হ্যালোর সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
হ্যালোঃ মেধা বিকাশে পাঠ্য বইয়ের বাইরের বই, পত্র-পত্রিকা, সাহিত্যপাঠের গুরুত্ব কতটা?
কামাল উদ্দিনঃ শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে সুশিক্ষিত হওয়া যায় না। পাশ করা যায় মাত্র। শুধু পাঠ্যবইয়ের মাঝে সীমাবদ্ধ না থেকে এর পাশাপাশি নিয়মিত অন্য বই-পত্র-সাহিত্য পড়তে হবে। মেধা বিকাশে এর গুরুত্ব অনেক।
হ্যালোঃ এখানে প্রতিদিন কতজন বই পড়তে আসেন? কেমন সাড়া পান?
কামাল উদ্দিনঃ আশানুরূপ সাড়া পাই না। প্রতিদিন পাঁচ থেকে ১০ জন আসেন। কেউ কেউ বইগুলো দেখে চলে যান, পড়ে্ন না। এখনকার ছেলেমেয়েরা শুধু ইন্টারনেট, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় কাটান। খেলাধুলাও করে্ন কিন্তু বই পড়তে তেমন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না।
হ্যালোঃ পত্র-পত্রিকা, বই পড়তে যারা আগ্রহী নন তাদের উদ্দেশ্যে কি বলবেন?
কামাল উদ্দিনঃ ছেলেমেয়েদের নিজ থেকেই পত্রিকা, বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এর পাশাপাশি শিক্ষক ও অভিভাবকদের সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। বই পড়ার প্রয়োজনীয়তা ছেলেমেয়েদের বোঝাতে হবে। আগ্রহী করে তুলতে হবে। কারণ বইয়ের কোনো বিকল্প নাই।
হ্যালোঃ জহুর হোসেন চৌধুরী গ্রন্থাগার। তার পরিচয় কি?
কামাল উদ্দিনঃ জহুর হোসেন চৌধুরী আমাদের ফেনীর দাগণভূঞার কৃতি সন্তান। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে ও পরেরও একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলাম লেখক ছিলেন। তার কলামে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ভয় পেতেন। শুনেছি আইয়ুব খান তাকে হুমকি পাঠাতেন। তিনি দৈনিক পাকিস্তান অবজারভারের সহযোগী সম্পাদক ও দৈনিক সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।
হ্যালোঃ শিশু সাংবাদিকতার জন্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ‘হ্যালো’ নামের অনেক বড় একটা মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে। এটা শিশুদের বিকাশে কাজ করছে। সেটি আপনি কিভাবে দেখেন?
কামাল উদ্দিনঃ সেটা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। ভবিষ্যতের জন্য অনেক কিছুই শেখা যাবে এখান থেকে। তবে পড়ালেখার পাশাপাশি এই কাজ করতে হবে। তবেই সাফল্য ধরা দেবে।
হ্যালোঃ আমাদের সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
কামাল উদ্দিনঃ তোমাকেও ধন্যবাদ।