কিছুদিন আগেই প্রকাশিত হলো মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল। সেই থেকে কারো বাসায় বয়ে যাচ্ছে আনন্দের বন্যা।
Published : 16 Apr 2022, 10:16 PM
এক গাল হাসিমুখে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। গর্বিত অভিভাবকরা। তবে অনেকের চিত্রই আবার এরকম নয়। অনেক শিক্ষার্থীই উত্তীর্ণ হতে পারেননি।
পরীক্ষা খারাপ হলে স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ থাকে ছাত্র-ছাত্রীদের। কিন্তু এই মন খারাপ যেন আরো বাড়িয়ে দেয় আমাদের আশেপাশের মানুষের কটুক্তি।
পরীক্ষায় ফলাফল খারাপ হওয়ার জন্য অভিভাবকদের কাছে হাজারও কথা শুনতে হচ্ছে অনেককে। তারা যখন প্রচুর অর্থ ব্যয় করে সন্তানদের পড়াশোনা করান, তখন তাদেরও একটা প্রত্যাশা থাকে। এটি পূরণ না হওয়ার ফলে তাদেরও মন খারাপ থাকে।
নিজের এবং পরিবারের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারার কষ্টটা শিক্ষার্থীরাও বোঝে। ঠিক এমন সময়টাতে প্রতিবেশি, আত্মীয় স্বজনদের অনেকে কটুক্তি করে কিংবা অন্যের সঙ্গে তুলনা করে।
আমি জানি না ওই মানুষগুলো ইচ্ছে করেই এমন করে কিনা। কিন্তু তাদের বোঝা উচিত একজন শিক্ষার্থীর জন্য ভর্তি যুদ্ধের সময়টা কত চাপের হয়ে থাকে৷ মানুষের নেতিবাচক কথা নেওয়ার মতো মানসিক জোরটা আসলে থাকে না।
একটি পরীক্ষার ফলাফল কখনোই জীবনকে শেষ করে দিতে পারে না। আজ আশানুরূপ ফলাফল আসেনি ঠিক, কিন্তু চেষ্টা করলে কাল হয়ত আরও ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। হতাশাগ্রস্ত না হয়ে বরং নিজেদের জীবনকে নিতে হবে এগিয়ে।