নারীর প্রতি বৈষম্য শুরু হয় তার শিশুকাল থেকেই। অনেক পরিবারই ছেলে শিশু হলে খুশি হয়, এটাকে আনন্দের সংবাদ বলে মনে করে। কিন্তু কন্যা সন্তান হলে তারা খুশি তো হয়ই না বরং আরো অসন্তুষ্ট হয়।
Published : 08 Mar 2022, 02:39 PM
যখন একজন কন্যা শিশুর বিদ্যালয়ে যাবার সময় হয় তখন অনেক পরিবারই মনে করে তার ভালো স্কুলে যাওয়ার দরকার নেই। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে এমন বেশি দেখা যায়। তারা মনে করেন একজন ছেলের ভালো স্কুলে পড়তে হবে কিন্তু মেয়ের বেলায় তা নয়।
তাদের ধারণা, মেয়েকে তো বিয়ে দিলে শ্বশুর বাড়ি চলে যাবে। আর ছেলে সংসারের হাল ধরবে। আবার অনেক সময় মেয়েকে বোঝা মনে করে দ্রুত বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।
একজন কিশোরি মেয়ের খেলার মাঠে খেলাটাও যেন অপরাধ। একজন ছেলে যখন খেলার মাঠে খেলাধুলা করে তখন অনেকেই তার প্রশংসা করেন কিন্তু একজন মেয়ে মাঠে খেলতে গেলে মানুষ তো তার প্রশংসা করেই না বরং তার সমালোচনা করে।
একজন নারী যৌন হয়রানী কিংবা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হলে অনেকে সেই নারীকেই দোষারপ করে। তার পোশাক ঠিক ছিল না, তার ওই সময়ে বের হওয়া ঠিক হয়নি ইত্যাদি। অন্যায়ের শিকার হলেও একজন নারীকেই শুনতে হয় নানা কথা। স্বামী যদি দ্বিতীয় বিয়ে করে, তার দায় দেওয়া হয় স্ত্রীকে। কেন সে স্বামীকে আগলে রাখতে পারল না, এই ব্যর্থতা নারীর ইত্যাদি।
নারীকে কর্মজীবনেও শিকার হতে হয় নানা বৈষম্যের। অনেক পেশাকেই মানুষ নারীর জন্য সঠিক বলে মনে করেন না। কিন্তু কবে দূর হবে নারীর প্রতি এই বৈষম্য? আমরা তো মানুষ হিসেবেই বাঁচতে চাই, সেই সম্মানটুকু চাই।