মালেকাকে দেখে মনে হয় বয়স নয় কিংবা দশ হবে। ও নিজেই ঠিকমত জানে না ওর বয়স কত। এইটুকুন বয়সেই ভিক্ষা করতে হচ্ছে ওকে।
Published : 19 Jul 2014, 10:08 AM
কুড়িগ্রাম সুপার মার্কেটের সামনে হ্যালোর সাথে কথা হয় মালেকার। ফুটপাতে বসে প্রতিদিন ভিক্ষা করে ও। ভিক্ষা করেই ওকে প্রতিদিনের খাবার যোগাড় করতে হয়। হ্যালোর সাথে ওর যখন কথা হয় তখন প্রায় সন্ধ্যা। মালেকার ঝোলায় জমা হয়েছে অনেকগুলো খুচরো টাকা।
হ্যালোঃ কখন থেকে এখানে বসেছ?
মালেকাঃ বিকালে আসচি।
হ্যালোঃ কখন বাসায় যাবে?
মালেকাঃ মগরবের আজান দিলেই চইলা যাব
হ্যালোঃ তুমিত হাঁটতে পার না, কীভাবে যাবে?
মালেকাঃ অটোতে করে যাব।
হ্যালোঃ অটোতে কত টাকা নেয়?
মালেকাঃ টাকা নেয় না, লুলা মানুষ তো।
হ্যালোঃ তোমার হাতে কি হয়েছে?
মালেকাঃ ছোট থাকতে হাতে বাসনি (প্যারালাইসিস) হইছে।
হ্যালোঃ দুপুরে কি খেয়েছ?
মালেকাঃ আমি দুপুরবেলা কিছু খাইনি। এখন বাজার থেকে কিছু কিনা নিয়া গিয়া রান্না করব।
হ্যালোঃ বাড়ি কোথায় তোমার?
মালেকাঃ কলেজ পাড়া বস্তিতে।
হ্যালোঃ তোমার সাথে আর কে কে থাকে?
মালেকাঃ আমি আর আমার দাদি থাকি।
হ্যালোঃ মা বাবা কোথায় থাকেন?
মালেকাঃ মা মারা গেছে আর আব্বা আরেকটা বিয়ে করে যাত্রাপুরে থাকে।
হ্যালোঃ বাবা তোমার খোঁজ নেয় না?
মালেকাঃ নাহ।
হ্যালোঃ মা কবে মারা গেছে?
মালেকাঃ আমি যখন অনেক ছোট ছিলাম তখন।
হ্যালোঃ স্কুলে যাও?
মালেকাঃ বোবা স্কুলে (বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল) পড়ি। সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত স্কুলে থাকি। তারপর ভিক্ষা করি।
হ্যালোঃ পড়াশোনা করে কি করবে? চাকরি?
মালেকাঃ আমি চাকরি করব কিভাবে, হাত তো লুলা।