বাল্যবিয়ের প্রভাবে একজন কিশোরী মা নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে, এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে বাল্যবিয়ে। অপরিণত বয়সে বিয়ে ও গর্ভধারণ নিয়ে হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এসব জানান বারডেম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আবিদা নাহার লিজা।
হ্যালো: বাল্যবিয়ে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ কীভাবে?
আবিদা নাহার লিজা: বাল্যবিবাহ সমাজের জন্য অভিশাপ। ছেলে-মেয়েরা অপ্রাপ্তবয়স্ক বয়সে পরিপূর্ণভাবে পরিণত হওয়ার পূর্বেই বাবা মা হয়ে যায়। এতে দেখা যায়, বাবা মা হওয়ার যে দায়িত্ব সেটা পালন করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।
অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরা শারীরিকভাবে দুর্বলতা এবং পুষ্টিহীনতার শিকার হয়ে থাকে। কারণ এত অল্প সময়ের মধ্যে তাদের দেহ পরিপূর্ণভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠে না একটি সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য। এর ফলস্বরূপ দুর্বল ও পুষ্টিহীন শিশুর জন্ম হয়। এতে মাতৃমৃত্যুর হার যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি শিশুমৃত্যুর হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অনেক সময় দেখা যায়, শিশু-কিশোরীরা অল্প বয়সে বিয়ে হওয়ায় গর্ভধারণ করলে তারা নিজে থেকেই গর্ভপাত করায়। আবার দেখা যায় ইনফেকশনের কারণে নিজে থেকেই গর্ভপাত হয়ে যায়। গর্ভপাতের সময় অনেকসময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে মায়ের মৃত্যু হতে পারে। তাহলে আমরা বুঝতেই পারছি যে বাল্যবিবাহ কতটা ভয়াবহ। একটি মা ও শিশুর মৃত্যুর কারণ হতে পারে বাল্যবিবাহ।"
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: খুলনা।