বিশ্বজুড়ে

মেয়েশিশু সুরক্ষায় ইউনিসেফ

হ্যা

মঙ্গলবার হ্যালোকে ইউনিসেফের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান হয়, ইউনিসেফের তথ্য মতে গত তিন দশকে এর সংখ্যা কিছুটা কমলেও এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখা প্রয়োজন।  যে দেশে এই বিষয় দুটি

বেশি প্রচলিত সেই সব দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করার জন্যই এটা করা দরকার।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক এ্যান্থনী লেক বলেছেন, "এফজিএম ও বাল্য বিবাহ খুব গভীরভাবে এবং স্থায়ীভাবে মেয়েদের ক্ষতি করে।

"তাদের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে এবং তাদের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি বিকশিত হতে দেয় না।"

তিনি আরও বলেন,"এটা তাদের পরিবারের জন্যে এবং সমাজের জন্যে ক্ষতিকারক।

"মেয়েরা কারও সামগ্রী নয়, তাদের অধিকার রয়েছে তাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের।"

সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্যঃ

আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের ২৯টি দেশে যেখানে এই ক্ষতিকর কাজ প্রচলিত আছে, সেখানে ১৩ কোটিরও বেশি মেয়ে এবং নারী কোন না কোনভাবে এফজিএম-এর অজ্ঞিতার শিকার হয়েছে। যে মেয়েদের এফজিএম করানো হয়, শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা ছাড়াও তারা দীর্ঘদিন ধরে রক্তপাত, সংক্রমণ, প্রজনন ক্ষমতাহীনতা ও মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে।

এছাড়া বাল্যবিয়ের ফলে মেয়েরা সারা বঞ্চনার শিকার হতে থকে। এ সব দেশের ৭০ কোটিরও বেশি সংখ্যক নারীর বিয়ে হয়েছিল শৈশবে। এরমধ্যে প্রতি তিন জনের মধ্যে একজনেরও বেশি বা প্রায় ২৫ কোটি নারীর বিয়ে হয়েছিল ১৫ বছর বয়সে।

যে মেয়েদের ১৮ বছর বয়সে পা  দেয়ার আগেই বিয়ে হয় তাদের স্কুলে থাকার সম্ভাবনা কম এবং এরা পরিবারেই নির্যাতিত হয়। অল্প বয়সী মেয়েদের গর্ভবতী হওয়া এবং শিশু জন্মদানে জটিলতায় ভোগার সম্ভাবনা ২০ বছর বয়সীদের তুলনায় বেশি।

তবে বলা যায়, একজন কিশোরীর প্রজনন অঙ্গহানি হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ বছর আগের তুলনায় এখন এক-তৃতীয়াংশ কম।

কেনিয়া ও তাঞ্জানিয়ায় এই হার তিন দশক আগের তুলনায় কমে দাঁড়িয়েছে তিন ভাগের এক ভাগে। এটা সম্ভব হয়েছে সামাজিক অংশগ্রহণ এবং আইনের যৌথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে। মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, ইরাক, লাইবেরিয়া ও নাইজেরিয়ায় এই সংখ্যা কমেছে প্রায় অর্ধেক।

এ নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। যেসব দেশে এফএমজি প্রচলিত ওই দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিশ্বাস করে যে এই রীতি বন্ধ হওয়া উচিত। তবে প্রচণ্ড সামাজিক চাপে পড়ে তারা তাদের কন্যা সন্তানদের ক্ষেত্রে এই রীতি চালিয়ে যান।

SCROLL FOR NEXT