বিশ্বজুড়ে

ফিনিশরা কেন সবচেয়ে সুখী?

হ্যা

রোমান কবি জুভেনালের একটি উক্তি রীতিমতো ভয় পাইয়ে দেয়। তিনি বলেছেন, “একজন সুখী মানুষ সাদা কাকের মতোই দুর্লভ।” আসলেই তো সুখী হওয়াটা মোটেও সহজ না। মান্না দে তাই গেয়েছেন, “সবাই তো সুখী হতে চায়। তবু কেউ সুখী হয়, কেউ হয় না।”

শনিবার বিশ্ব সুখ দিবস। এ দিবসকে সামনে রেখে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে বলা হয়েছে, এবার সুখী দেশের তালিকার শীর্ষে ইউরোপের দেশ ফিনল্যান্ড। আর বাংলাদেশের অবস্থান ৬৮তম। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সমাধান নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দিয়েছে এই স্বীকৃতি।

উইকিপিডিয়া ইংরেজির তথ্যানুযায়ী, ফিনল্যান্ডের আয়তন তিন লক্ষ ৩৮ হাজার চারশ ৫৫ বর্গকিলোমিটার। ২০০৭ এর আদমশুমারীর তথ্যে জনসংখ্যা ৫২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৪৮৩ জন। খ্রিস্টান সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশটিতে লুথানিসম, অর্থোডক্স নামে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও বাস করে। শুধু তাই নয় ২৮ দশমিক পাঁচ শতাংশ ধর্মহীন মানুষও বাস করে এই দেশটিতে।

দেশজ উৎপাদন (জিডিপি), গড় আয়ু, সামাজিক উদারতা, সামাজিক সহায়তা, স্বাধীনতা এবং দুর্নীতির ওপর ভিত্তি করে সুখী দেশের তালিকা করা হয়। নিশ্চয়ই এই সবগুলো দিক থেকে ফিনল্যান্ডের ভালো অবস্থানই দিয়েছে তাদের এ স্বীকৃতি।

ফোর্বস ম্যাগাজিন বলছে, ফিনল্যান্ড তাদের বহু কল্যাণমূলক সুবিধা, নিম্নস্তরের দুর্নীতি এবং শক্ত গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও স্বায়ত্বশাসন বোধের জন্য আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত। সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও আছে দেশটিতে। ৮০ শতাংশেরও বেশি ফিনিশ তাদের পুলিশ বাহিনীর ওপর আস্থা রাখে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।

রোভিও (অ্যাংরি বার্ডের বিকাশকারী), সুপারসেল (ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যানসের স্রষ্টা), লিফট নির্মাতা কোনে আর নোকিয়ার মতো ব্র্যান্ড সরবরাহ করে দীর্ঘকাল ধরে বিশ্বব্যাপী ফিনল্যান্ড তার ওজন ছাড়িয়ে চলেছে।

অনেকের মতে, পড়াশোনা, স্বাস্থ্য সেবা বা চাকরির মতো চাহিদাগুলো মানুষকে সম্পূর্ণরুপে বোধ করার মতো দেশ এটি।

SCROLL FOR NEXT