বিশ্বজুড়ে

‘সৌর জগতের বাইরে থেকে আসা’ গ্রহাণুর সন্ধান

হ্যা

যদি বিজ্ঞানীদের দাবি সঠিক হয় তবে এটাই হবে ছায়াপথের অন্য কোথাও থেকে আমাদের সৌরমণ্ডলে প্রবেশ করা কোনো বস্তু।

বিজ্ঞানীরা বস্তুটির নাম দিয়েছেন A/2017 U1 ।

সম্প্রতি নাসার বরাত দিয়ে স্কাই নিউজের করা এক প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়।

এটি হচ্ছে একটি ইন্টারস্টেলার অবজেক্ট। ইন্টারস্টেলার স্পেসে অবস্থিত বস্তুকে বলা হয়ে থাকে ইন্টারস্টেলার অবজেক্ট। ইন্টারস্টেলার স্পেস হলো দুটি নক্ষত্রের মাঝের অঞ্চল।

নক্ষত্রদের মধ্যে দিয়ে চলমান এবং অন্য সৌরজগতের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করা বস্তু আছে এরূপ বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরে অনেক বিজ্ঞানীরাই পোষণ করে আসছেন।

সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিসের প্রধান পল চৌডাস এ বিষয়ে বলেন, “বস্তুটি যে সৌরজগতের বাইরে থেকে এসেছে তা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট তথ্য থাকলেও এটি নিশ্চিত করার জন্য আরো অনেক তথ্য প্রয়োজন।”

তিনি আরো জানান যে, বিজ্ঞানীরা এই দিনটির জন্য কয়েক দশক ধরে অপেক্ষা করে যাচ্ছিলেন।

এই গ্রহাণু বা ধূমকেতুটির ব্যাস প্রায় ৪০০ মিটার এবং এর গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে ২৭ মাইল অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৪৩.৫ কিলোমিটার। ধারণা করা হচ্ছে ২ সেপ্টেম্বর এটি আমাদের সৌরজগতে প্রবেশ করে।

এটি পরবর্তীতে সাত দিন পর সূর্যকে সবচেয়ে নিকটবর্তী দূরত্ব থেকে অতিক্রম করে। ১৪ অক্টোবর এটি পৃথিবীর কক্ষপথের ১৫ মিলিয়ন মাইল নিচ দিয়ে হেয়ারপিন বাঁক বা U আকৃতির মোড় নিয়ে পৃথিবীকে অতিক্রম করে।

বস্তুটি সম্পর্কে আরো ধারণা পেতে বস্তুটিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা।

নাসার বিজ্ঞানী ড্যাভিড ফারনোচিয়ার বলেন, এটি তার দেখা প্রথম বস্তু যার চলার কক্ষপথ এরূপ।

বস্তুটির গতিপথ সম্পর্কে আরো গবেষণা চালিয়ে নাসার বিজ্ঞানী দল জানতে পারে যে বস্তুটি লায়রা নক্ষত্রের পথের দিক থেকে এসেছে।

ইনস্টিটিউট ফর অ্যাস্ট্রোনমির থেকে কেরেন মিচ জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বাস করে আসছিলেন যে মহাকাশে এরূপ বস্তুর অস্তিত্ব আছে।

তাদের কাছে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যাপার এই ছিল যে তারা এই প্রথম কোনো ইন্টারস্টেলার অবজেক্টকে অতিক্রম করতে দেখেছেন।

প্রাথমিকভাবে বস্তুটিকে নাম  A/2017 U1 দেওয়া হয়েছে। এটি পরবর্তীতে পরিবর্তিত হতে পারে। কেননা এর আগে কখনো এই ধরনের একটি বস্তুর নামকরণ হয়নি। তাই নামকরণের নিয়ম এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

SCROLL FOR NEXT