বিশ্বজুড়ে

অলিম্পিক দিবস সবার জন্য

হ্যা

‘মুভ, লার্ন ও ডিসকভার’- এ তিনটিকে ভিত হিসেবে নিয়ে পালন করা হয় এ দিবস। এ দিবসে বিভিন্ন দেশের জাতীয় অলিম্পিক কমিটি সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।  

‘মুভ’ বলতে বোঝানো হয় সক্রিয় হয়ে উঠা। অলিম্পিক দিবসে আরও সক্রিয় হয়ে উৎসাহিত করে এই ভিত্তিটি। ‘লার্ন’ বলতে বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রীড়ার অবদানের কথা জানতে পারার বিষয়টি। আর নতুন ধরনের খেলা বের করার বিষয়টি নির্দেশ করা হয় ‘ডিসকভার’ দিয়ে।    

১৯৪৭ সালে সুইডেনে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) ৪১তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সভায় চেকোস্লোভিয়ার সদস্য ডক্টর গ্রাস বিশ্বজুড়ে অলিম্পিকের প্রসারের স্বার্থে বিশ্ব অলিম্পিক দিবস পালনের ওপর একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। ১৯৪৮ সালের জানুয়ারিতে আইওসির ৪২তম সভায় প্রতি বছর এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

১৭ জুন থেকে ২৪ জুনের মধ্যে যেকোনো একদিন বেছে নেওয়ার কথা বলা হলে ২৩ জুন বেছে নেওয়া হয় এ দিবস হিসেবে। আর এর পেছনের কারণ হলো ১৮৯৪ সালের ২৩ জুন পিয়েরে ডি কুবার্টিনের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি।         
১৯৪৮ সালে অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, গ্রেট ব্রিটেন, গ্রিস, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, উরুগুয়ে এবং ভেনিজুয়েলা এ দিবস প্রথমবারের মতো পালন করে।

১৯৮৭ সালে অলিম্পিক দিবসে ভিন্নমাত্রা যোগ করে অলিম্পিক ডে রান। জাতীয় অলিম্পিক কমিটিগুলো অলিম্পিক দিবসে এটি আয়োজন করে থাকে। অলিম্পিক দিবস পালনে উৎসাহ দিতে ও ক্রীড়াচর্চা বাড়াতে এটি আয়োজন করা হয়। প্রথম আয়োজনে ৪৫ টি জাতীয় অলিম্পিক কমিটি আয়োজন করলেও বর্তমানে সেই সংখ্যা একশ’ ছাড়িয়েছে।

বিশ্বের ছ’টি মহাদেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। অলিম্পিক ডে রান পাশাপাশি দলীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও ব্যক্তিগত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলাতেও অলিম্পিক ডে রান আয়োজনের কথা রয়েছে।

বর্তমানে অলিম্পিক দিবসের তাৎপর্য শুধুই দৌড় আর ক্রীড়ানুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ নেই। সুস্বাস্থ্য ও সক্রিয় জীবনধারার প্রসার ঘটানোর জন্য একটি বার্ষিক উদযাপনে পরিণত হয়েছে। এ দিনে সব বয়স, লিঙ্গ, সক্ষমতা ও সামাজিক পটভূমির মানুষের জন্য আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের। তাই বলা যায় ভেদাভেদ ভুলে যেতেও শেখায় অলিম্পিক দিবস।

SCROLL FOR NEXT