অন্য চোখে

কমছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, তবুও দরকার সচেতনতা

হ্যা

শিশু থেকে যুবক, বৃদ্ধা সবাইকে হাসপাতালের বিছানায় যেতে হয়েছে আবার কেউ চলেও গেছে না ফেরার দেশে তবুও কোন কুল কিনারা করতে পারেনি রাষ্ট্র। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানাচ্ছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত মোট ৬৯ হাজার ৪৩৫ জন ডেঙ্গু রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে অগাস্টেই ভর্তি হয়েছেন ৫০ হাজার ৯৭৪ জন।

আর ২০০০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ৫০ হাজার ১৪৮ জনের ডেঙ্গুর চিকিৎসা নেওয়ার তথ্য নথিভুক্ত হয়েছে সরকারের খাতায়।

চলতি অগাস্ট মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা গত ১৯ বছরে নথিভুক্ত সব ডেঙ্গু রোগীর মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

একজন শিশু হাসপাতালের বিছানায় দিনের পর দিন কীভাবে কাটাচ্ছে তা ভেবে শিউরে উঠেছি বারবার। চিকিৎসক, নার্স তারা আক্রান্ত হয়েছেন দেদারছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের এক প্রতিবেদন বলছে, ঢাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পর রোগীদের সেবায় নিয়োজিত তিনশ স্বাস্থ্যকর্মী মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের ৯৪ জনই চিকিৎসক।

এই মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু  যখন শত মানুষের আহাজারিতে পরিণত হয়েছে তখন আমরা কি সচেতন হয়েছি? বাড়ির আশেপাশের জমে থাকা পানি ফেলে দিন। নিয়মিত নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা আর্বজনা ফেলুন। ড্রেনে প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট ফেলা থেকে বিরত থাকুন। বাড়ির আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করুন আর মশারি ব্যবহার করুন।

SCROLL FOR NEXT