অন্য চোখে

সত্যজিৎ ও আমাদের ফেলুদা

হ্যা

বিশ শতকের এই কালজয়ী লেখক ও অস্কারজয়ী চলচিত্র নির্মাতার জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া।

প্রদোষ চন্দ্র মিত্র ওরফে ফেলুদা, প্রফেসর শঙ্কু ও তাড়িনী খুড়ো নামক জনপ্রিয় চরিত্রের স্রষ্টা, সত্যজিত রায়। অসাধারণ গোয়েন্দা গল্প সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

দারুণ উত্তেজনা, বর্ণনায় রহস্যের জালের কারণে অধিকাংশ বইপ্রেমীদের পছন্দ গোয়েন্দা গল্প ও উপন্যাস। বিখ্যাত ফরাসী লেখক এমিল গ্যাবেরিওর হাতে গোয়েন্দা গল্পের সৃষ্টি। পরবর্তীতে স্যার আর্থার কোনান ডয়েল, শার্লক হোমস নামক গোয়েন্দা কাহিনী রচনা করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

বাংলা সাহিত্যের লেখকরাও গোয়েন্দা কাহিনী রচনা করেছেন। শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায় ও নীহাররঞ্জন গুপ্ত এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখলেও তাদের সমসাময়িক লেখক সত্যজিৎ রায় ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

ফেলুদা ওরফে প্রদোষ চন্দ্র মিত্র সত্যজিতের সৃষ্টি অসাধারণ বিশ্লেষণ ক্ষমতাসম্পন্ন গোয়েন্দা চরিত্র।

ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি নামক বইয়ে এই চরিত্রটি প্রথম দেখা যায়। গল্পটি সন্দেশ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরপরই এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে সত্যজিৎ রায়ের হাতে এই সিরিজের অনেক বই এসেছে। এরফলে পাঠক সমাজে সত্যজিৎ রায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

তিনি তার রচিত ফেলুদা সিরিজের সোনার কেল্লা ও জয় বাবা ফেলুনাথকে নিয়ে দুটি সফল চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেন। প্রফেসর শঙ্কু ও তারিণী খুড়ো অসাধারণ হলেও সত্যজিৎ রায় ফেলুদার মাধ্যমে পাঠকচিত্তে গভীর প্রভাব বিস্তার করেন। এছাড়াও তার কিছু শিশুতোষ লেখাও রয়েছে।

অস্কারজয়ী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা লেখালেখির মাধ্যমে একদিকে নিজের অসাধারণ চিন্তাশক্তির পরিচয় দিয়েছেন। আর বাংলা সাহিত্যে অবদান রেখে হয়েছেন অনন্য।

SCROLL FOR NEXT