খবরাখবর

‘পাহাড়ি জঙ্গলে ৩ দিন গিয়েও সেই পাখিটা পাইনি’

নাহিয়ান আরাফ আয়ান

পাখির ছবি দেখলে মানুষের জানার আগ্রহ বাড়বে, যা প্রকৃতির প্রতি মানুষকে সচেতন করবে তুলবে।

নিজের তোলা প্রায় একশ পাখির ছবি নিয়ে এক প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এমন কথাই বলছিলেন আলোকচিত্রী ডা. আব্দুস সামাদ আলিম।

পেশায় স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ী এই আলোকচিত্রীর নেশা পাখি ও বন্যপ্রাণীর ছবি তোলা। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে তোলা ৬৫ প্রজাতির পাখির বাছাই করা ছবিগুলো নিয়ে তিনি প্রদর্শনীর আয়োজন করেন।

ঢাকার গুলশানে বে’স এজ ওয়াটারের এজ গ্যালারিতে তার দুই দিনব্যাপী একক আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি শনিবার শুরু হয়। প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুন।

আলোকচিত্রী আব্দুস সামাদ আলিম হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিলেন, “আমি জোর করে যদি কাউকে চাপিয়ে দেই তাহলে এটা কাজে আসবে না। কিন্তু পাখির ছবি দেখতে এসে পাখি সম্পর্কে জেনে আরও জানার আগ্রহ বাড়বে। এই পাখিটা কী খায়, কোথায় থাকে ইত্যাদি। এভাবে প্রকৃতির প্রতিও আগ্রহ বাড়বে, আমরা সচেতনও হব। যা পরিবেশ বিপর্যয় থেকে আমাদের রক্ষা করবে।”

পরিবেশ সম্পর্কে শিশুদের সচেতন করলে তা বেশি কার্যকর হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার এখন মাথায় এসেছে এই প্রদর্শনীটা স্কুলে করলে আরও বেশি শিশু-কিশোরের কাছে পৌঁছাতে পারতাম। তাদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পারতাম। ভবিষ্যতে আমি কোনো না কোনো স্কুলে করব।”

পাখির ছবি তোলার অভিজ্ঞতা কেমন, এই প্রশ্নের জবাবে হ্যালোকে তিনি বলেন “এমনও হয়েছে পাহাড়ি জঙ্গলে তিনদিন গিয়েছি, জোঁকের কামড় খেয়েছি, অপেক্ষা করেছি, কিন্তু যে পাখিটাকে খুঁজেছি সেই পাখিটা পাইনি। পাখি পেয়ে গেলে তো রিল্যাক্স ভাব কাজ করত। কিন্তু যখন হন্যে হয়েও খুঁজে পেতাম না তখন রোমাঞ্চকর মনে হতো।”

প্রদর্শনী উপলক্ষে নিজের তোলা আড়াইশ’রও বেশি ছবি নিয়ে ‘‌দ্য উইংস অব ভাইব্র্যান্স’ নামে একটি বইও প্রকাশ করেছেন তিনি।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা।
SCROLL FOR NEXT