খবরাখবর

খুঁড়িয়ে চলছে ঠাকুরগাঁওয়ের ভাঙা স্কুল

হ্যা

সরেজমিনে দেখা যায়, পশ্চিম গিলাবাড়ী বেসরকারি প্রাথমিকের ভাঙা ঘরে ক্লাস করতে কষ্ট পাচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

প্রধান শিক্ষক ডলি রাণী কর্মকার হ্যালোকে জানান, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিদ্যালয়টি ভেঙে যায়। 

স্কুল সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে বিদ্যালয়টি তৈরি হয়। চার জন শিক্ষক এটি পরিচালনা করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫০ জন। এরমধ্যে ৯০ জন ছাত্র এবং ৬০ জন ছাত্রী।  

বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বলে, ‘এই ভাঙা ঘরেই খুব কষ্টে ক্লাস করি।’

আরেক শিক্ষার্থী জানায়, শ্রেণিকক্ষে বিদ্যুৎ নাই বলে কষ্ট হয়।

একই শ্রেণির ছাত্র রঞ্জিত কুমার জানায়, একটু বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের মাঠে হাঁটু পানি জমে থাকে। এ কারণে খেলাধুলাও করতে পারে না।

চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র বিকাশ কুমার বলে, ‘একটু বৃষ্টি হলেই ভাঙা টিনের ছাদ থেকে পানি পড়ে। আমাদের বইগুলোও ভিজে যায়।

‘স্কুল মেরামতের জন্য আমরা কোনো অনুদান পাইনি। কষ্ট করে ক্লাস নিই’ বলেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কণিকা বালা।

ডলি কর্মকার বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন তো দিতেই পারি না। এমনকি বাচ্চদের উপবৃত্তির টাকাও পাই না।

‘স্কুলটি না চললে আশাপাশের এলাকার অন্তত তিন থেকে চারশ পরিবারার বাচ্চারা পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবে।

‘সংস্কারের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো সুফল পাইনি।’   

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার লিয়াকত আলী হ্যালোকে বলেন, ‘বিদ্যালয়টির খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 
SCROLL FOR NEXT