কথায় কথায়

‘বই পড়, জ্ঞান অর্জন কর’

হ্যা

তার জন্ম ১৯৩৯ সালে রংপুর জেলার বদরগঞ্জে। কর্মজীবনে তিনি ছিলেন একজন শিক্ষক। সম্প্রতি রংপুর বইমেলায় মুহাম্মদ আলীম উদ্দীনের সাথে কথা হয় হ্যালোর।  

হ্যালো: আপনার শৈশব কেটেছে কোথায়?

মুহাম্মদ আলীম উদ্দীন: আমি একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মেছি। মাঠের পর মাঠ, সবুজ ধানের ক্ষেত দেখতে দেখতে আর জমির সরু আইল ধরে দৌড়াতে দৌড়াতেই আমি বড় হয়েছি।

হ্যালো: আপনার শিক্ষা জীবনের শুরু কোথায়?

মুহাম্মদ আলীম উদ্দীন: রংপুরের বারবিঘা প্রাইমারি স্কুলেই আমার শিক্ষা জীবনের শুরু। ওখান থেকেই আমি পঞ্চম শ্রেণি পাশ করি। পরবর্তীতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে কারমাইকেল কলেজে বাংলা বিভাগে ১৯৬৯ সালে স্নাতকে ভর্তি হই।

হ্যালো: আপনি তো একজন লেখক। আপনার বই পড়াটা শুরু হয় কিভাবে?

মুহাম্মদ আলীম উদ্দীন: আমি যখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ি তখন থেকেই বই পড়ি। বাড়িতে থাকা পুরাতন বই, বন্ধুদের কাছ থেকে গল্পের বই ধার নিয়েই শুরু হয় আমার বই পড়া।

হ্যালো: শুনেছি অনেক কম বয়সে আপনার লেখা একটি কবিতা পত্রিকায় প্রকাশ হয়! লেখালেখির অনুপ্রেরণা কোথা থেকে পেলেন?

মুহাম্মদ আলীম উদ্দীন: হ্যাঁ, ১৩ বছর বয়সেই আমার লেখা কবিতা একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিভিন্ন লেখকদের বই পড়তে পড়তেই একদিন ইচ্ছা হলো কবিতা লেখার। সেই থেকে শুরু হলো, আজও লিখছি। এখন পর্যন্ত আমার লেখা চারটি উপন্যাস,পাঁচটি কবিতার বই, বেশ কিছু ছোট গল্প ও গবেষণামুলক বইসহ মোট ১৭টি বই প্রকাশিত হয়েছে।

হ্যালো: কার লেখা আপনাকে বেশি টানে?

মুহাম্মদ আলীম উদ্দীন: রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরৎচন্দ্রের লেখা আমার বেশি ভালো লাগে।

হ্যালো: আপনার লেখার মূল বিষয়বস্তু কী?

মুহাম্মদ আলীম উদ্দীন: বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতি।

হ্যালো: বর্তমান সময়ে দেশের কোন বিষয়গুলো আপনাকে ভাবায়?

মুহাম্মদ আলীম  উদ্দীন:  মাদকাসক্তি, অতিরিক্ত পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুকরণ, শিশু ও নারী নির্যাতন।

হ্যালোঃ বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে আপনার মতামত কী?

মুহাম্মদ আলীম উদ্দীন: বর্তমানে যে সৃজনশীল পদ্ধতি চালু হয়েছে, তা শিক্ষার্থীর মেধা বিকাশে সহায়ক। তবে শিক্ষকদেরকে সৃজনশীল পদ্ধতি বিষয়ে আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

হ্যালো: নতুন প্রজন্মের শিশুকিশোরদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।

মুহাম্মদ আলীম উদ্দীন: বই হলো জ্ঞানের উৎস, আর লাইব্রেরি হলো জ্ঞানের সংগ্রহশালা। বেশি বেশি বই পড়, জ্ঞান অর্জন কর,অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়োগ কর।  

হ্যালো: শিশু সাংবাদিকতাকে আপনি কিভাবে দেখেন?

মুহাম্মদ আলীম উদ্দীন: নি:সন্দেহে এটি একটি ভালো কাজ। এর মাধ্যমে তুমি নিজেকে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।

হ্যালো: ধন্যবাদ। আপনার মূল্যবান সময় থেকে কিছু সময় দেওয়ার জন্য।

মুহাম্মদ আলীম উদ্দীন: তোমাকেও ধন্যবাদ।

SCROLL FOR NEXT