আমার কথা

হাওড়ে বাওড়ে

হ্যা

কিন্তু কোথায় যাব তা ঠিক করতে হিমশিম খেয়ে যাই। প্রত্যেকেই নানা প্রস্তাব করতে থাকি। সবশেষ ময়মনসিংহের মোহনগঞ্জে যেতে রাজি হয় সবাই। আমরা দিন ঠিক করি ৮ সেপ্টেম্বর।

যেহেতু এক দিনের সফর তাই সকাল সকাল বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। এজন্য সকাল ৬টার ট্রেনে যাব বলে আমরা ঠিক করি। মোহনগঞ্জ এলাকাটি হাওর এলাকা, তাই সঙ্গে অতিরিক্ত কাপড় নিতে হবে।

আগের দিন ব্যাগ গুছিয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ি। পর দিন ঘুম থেকে উঠি ভোর ৪টায়। এরপর আমার বন্ধু মানুর, ইয়ামিন, মাহাদি, রাকিবকে কল দিয়ে জাগিয়ে দেই। ৬টা বাজার ১৫ মিনিট আগে আমরা পৌঁছে যাই রেল স্টেশনে। কিন্তু এসে জানতে পারি পাঁচ মিনিটের জন্য ট্রেনটা মিস করে ফেলেছি আমরা। কী আর করা! আমরা সকালের নাশতাটা এখানে সেরে নিলাম।

ময়মনসিংহ থেকে মোহনগঞ্জ যাওয়ার জন্য সকালে ট্রেন মাত্র একটিই। আমরা সিদ্বান্ত নিলাম যেভাবেই হোক মোহনগঞ্জ যাবই। এরপর আমরা অন্য ট্রেন দিয়ে চলে গেলাম নেত্রকোণা পর্যন্ত। সেখান থেকে সিএনজি ভাড়া করলাম আটশ টাকা দিয়ে একদম মোহনগঞ্জ পর্যন্ত। যদিও ট্রেনে গেলে খরচ হতো মাত্র ২০০ টাকা। ট্রেন মিস করাতে আমাদের খরচ অনেক বেশি হয়ে গেল। আবার সময়ও অনেক বেশি লেগে যায়। সময় বেশি লাগার জন্য সবার মনটাই বেশ খারাপ ছিল।

মজার ব্যাপার হলো, মোহনগঞ্জ পৌঁছার পর এর সৌন্দর্য আমাদের সকলের ক্লান্তি দূর করে দিয়ে সবাইকে আবার সতেজ করে তোলে।

এরপর আমরা নৌকা ভাড়া করে চলি মোহনগঞ্জের আরো ভেতরে। সেখানে পৌঁছে ঘোরাঘুরি বেশ তাড়াতাড়িই শেষ করতে হয় কারণ আমাদের ফেরার নৌকা বিকাল ৩টায়।

এই নৌকা ছুটে গেলে আবার আরেকটি নৌকা ছিল সন্ধ্যায়। তাই দ্রুতই চলে এলাম ঘাটে। ময়মনসিংহে ফেরার ট্রেন ছিল ৬টায়। এরপর আর কোনো ট্রেন নেই, আবার পরের দিন।

তাই সবকিছুই তড়িৎ গতিতে শেষ করে নেই আমরা। এরপর ৬টার কিছু আগে রেল স্টেশনে পৌঁছে যাই। আর বাড়ি ফিরতে বেজে যায় রাত ১১টা।

SCROLL FOR NEXT