আমার কথা

দলবেঁধে বইমেলা ঘুরে এলাম

হ্যা

মিজান, মোস্তাফিজ, রাফি, তুহিন ও আমি সিদ্ধান্ত নিই ৪ তারিখ সকালে আমরা মেলায় যাব। বগুড়া থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বাসের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করে রেখেছিলাম।

সকাল সাড়ে সাতটায় আমাদের বহনকারী বাসটি যাত্রা শুরু করে। কখন পৌঁছাব- এটা ভেবেই সবাই অনেক বেশি উত্তেজিত ছিলাম।

বিকাল ৩টায় আমরা মেলার প্রবেশ দ্বারে পৌঁছাই। এরপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হয়ে পৌঁছাতে হলো মেলা প্রাঙ্গনে। স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখতে শুরু করি। বেশ সুন্দর করে স্টলগুলো সাজানো হয়েছে। প্রচুর জনসমাগম। পাঠকরা বই কিনছেন, কেউবা প্রিয় লেখকের সাথে ছবি তুলছেন, অটোগ্রাফ নিচ্ছেন।

মনে মনে ঠিক করলাম যেই বইটা ভালো লাগবে সেটাই কিনব। তবে বেশ দোটানায় পড়ে যাচ্ছিলাম, বই দেখলেই কিনতে ইচ্ছা করছিল। চারপাশ থেকে আসা নতুন বইরে ঘ্রাণ মোহিত করছিল আমাকে।

শিশু চত্বর সেজেছে আরও রঙাচঙা ঢঙে। শিশুদের টিভি অনুষ্ঠান সিসিমপুরের একটি অবয়ব সেখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ঘুরতে ঘুরতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। দিন শেষে সন্ধ্যায় স্টলগুলো আরও যেন সুন্দর লাগছিল। চারপাশ আলোতে চকচক করছে। মনে হচ্ছে, বইয়ের ওপর আলো পড়ে বইগুলোর সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এত সুন্দর মেলা রেখে বাসায় যেতে ইচ্ছা করছে না।

তবুও যেতে হবে। মেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। রাত ৮টার মধ্যে কেনা-কাটা শেষ হয়ে গেল। তারপ বন্ধুরা মিলে সুন্দর সাজানো গোছানো একটি স্টলে ঢুকলাম। দেখলাম সেখানে পাঠকের ভিড় বেশি। ভালো স্টলে পাঠকের ভিড় একটু বেশিই হয়। সবাই স্টল সাজিয়ে রাখা বই দেখছে। আমিও বই দেখেছি। হঠাৎ একটা প্রচ্ছদে চোখ আটকে গেল। মনে হলো, বইটা আজই কেনা দরকার। কিন্তু টাকা তো সব শেষ।

বইটা দোকানেই পড়তে শুরু করলাম। খানিকটা পড়েও ফেললাম।  তারপর সবাই মিলে হালকা কিছু খেয়ে রওনা দিলাম বাড়ির পথে।

SCROLL FOR NEXT