আমার কথা

বৈষম্য!

হ্যা

সৃষ্টির শুরুতে নারী-পুরুষের পার্থক্য জানত না কেউ। সময় গড়াতে গড়াতে নানা ধরনের বৈষম্য ও ভেদাভেদের উদ্ভব ঘটেছে!

নারী-পুরুষ ছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গকে আবিষ্কার করা হয়েছে এক আকাশ-পাতাল বৈষম্যের দৃষ্টান্ত হিসেবে। ধনী-গরিবের বৈষম্য তো আছেই। আবার বিত্তশালীদের ভেতরও সৃষ্টি হয় নতুন এক বৈষম্য। উচ্চ বিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত। 

বৈষম্যের মাঝে কেবলমাত্র নিম্নবিত্তরাই হাবুডুবু খাচ্ছে। তাদেরকেই সবচেয়ে বেশি কষ্ট সহ্য করতে হয়। 

বৈষম্যের তৈরির পেছনে নানা কারণ আছে। যতটা সরল মনে সহজভাবে এটা আমরা দেখি, এটা ঠিক ততটা নয়। এর পেছেনে শক্তি ও স্বার্থ থাকে।

যেমন ৪৭ এ দেশভাগের আগে ধর্মীয় বৈষম্য ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ব্রিটিশরা চেয়েছিল বৈষম্য করে ওই অঞ্চলের মানুষ নিজেরা সংঘর্ষে জড়িয়ে যাবে তখন তারা সহজেই তাদের স্বার্থ উদ্ধার করতে পারবে।

রাজনৈতিক দলগুলো অনেক সময় বৈষম্য ছড়িয়ে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে চায়। ধনী-গরীব বৈষম্যের পেছনেও বড় কারণ জড়িয়ে থাকে, আরও থাকে শিক্ষা ও মূল্যবোধের অভাব।

কেউ রাতারাতি বিত্তবান হয়ে গেলেই বোঝা যায় একরাতে মানুষ কতটা পরিবর্তন হতে পারে। তখন নিম্ন আয়ের কাউকে তারা মানুষ হিসেবে মেনে নিতে পারে না।

বৈষম্য নানা কারণেই হচ্ছে, নানা ভাবে হচ্ছে। এটার সীমানা অনেক বড়। তবে হ্যাঁ বৈষম্যমুক্ত পৃথিবী গড়তে অবশ্যই আমরা যার যার অবস্থান থেকে অবদান রাখতে পারি।

SCROLL FOR NEXT