আমার কথা

আহারে! ঝর্ণা আর পাহাড়ে

হ্যা

এত আনন্দের ফাঁকে ঘটে গেল ছোট একটা অঘটন। দৌড়াতে গিয়ে একটা পাথরে লেগে শোভন হঠাৎ আছাড় খেল। এতে ওর পায়ের বেশ খানিকটা অংশ ছড়ে গেল।

সাথে কোনো ওষুধ ছিল না। সাজ্জাদ ঘাস ছেঁচে শোভনের ক্ষতে লাগিয়ে দিল। তারপর আরও কিছুক্ষণ আমরা চূড়ায় ছিলাম। চূড়ায় একটি মন্দিরও ছিল, মন্দিরটা দেখতে বেশ সুন্দর। দূর থেকে মন্দিরটাকে পাহাড়ের মুকুটের মতো মনে হয়।

এরপর পাহাড়ের চূড়ায় থাকা একটা টং দোকান থেকে আমরা পানি আর হালকা খাবার খেয়ে নামতে শুরু করি।

নেমে আসার ব্যাপারটা বেশ আরামদায়ক ছিল। তবে নামার ক্ষেত্রে বেশ সাবধানে নামতে হয়েছে। কারণ পাহাড়ে গায়ে কাটা সিঁড়িগুলো একেক বাঁকে একেক রকম। কোথাও হয়তো সিমেন্টের সিঁড়ি কোথাও মাটির গায়ে খাঁজ কেটে সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে। একবার আছাড় খেলেই বড় অঘটন ঘটে যেতে পারে।

পাহাড় থেকে নেমে ছোট একটা দোকানে আরও কিছু সময় বসলাম। চা খেলাম। কিছুক্ষণের বিশ্রাম আর পাহাড়ের চূড়ায় যাওয়ার আনন্দ আমাদের চাঙ্গা করে দিল।

সামনে যেতেই একটা মন্দির চোখে পড়ল। ভেতরে ঢুকলাম। সেখানের একটি দোকান থেকে একটি গীতা কিনলাম। ভাবলাম পড়া যাবে।

মন্দির থেকে বের হয়ে যখন হোটেলে ফেরার অটোতে উঠলাম তখন প্রায় সন্ধ্যা নামার সময় হয়ে গেছে।

হোটেলে ফিরে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমরা রাতের খাবার খাওয়ার জন্য নেমে যাই। হোটেলের খাবার বেশ ভালো ছিল। তার চেয়ে ভালো ছিল মানুষদের ব্যবহার।

তারপর হোটেলে ফিরে গল্প করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ি। কারণ পরদিন খুব সকাল সকাল বেড়িয়ে পড়তে হবে ঝর্ণার উদ্দেশ্যে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে বের হয়ে গেলাম নাপিতছড়ার উদ্দেশ্যে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ঝর্ণা ঘুরে সেদিক থেকেই ঢাকাগামী কোনো একটা  বাসে করে বাড়ি ফিরব। 

হোটেল থেকে বের হয়ে তো আমাদের অবস্থা দফারফা। এত ঠাণ্ডা আগে কখনও টের পাইনি। চারদিকে বেশ কুয়াশা। ঢাকায় তো শীতকাল বলে কিছু নেই।

সীতাকুণ্ড থেকে নাপিতছড়া যেতে আমরা একটা টেম্পুতে উঠি। কিন্তু আমরা ভুল জায়গা নেমে পড়ি। এরপর আরেকটা টেম্পুতে করে জায়গা মতো পৌঁছে যাই। (চলবে...)

SCROLL FOR NEXT