স্বপ্নের পদ্মা সেতু রূপ নিয়েছে বাস্তবে। বাগেরহাট, খুলনা, যশোর, বরিশাল, পিরোজপুরসহ এই অঞ্চলের প্রতিটি জেলাতেই অর্থনৈতিক পরিবর্তন আসবে।
কেননা সড়ক যোগাযোগের উন্নতির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতির বিষয়টি জড়িত।
ফেরি দিয়ে পার হতে দীর্ঘ সময় লাগে। এখন খুব সহজেই রাজধানীসহ সারাদেশে শাক-সবজি, ফলমূল পাঠানো যাবে। স্থানীয় কৃষিপণ্যগুলো এখন দ্রুতই পৌঁছে যাবে সব খানে। শুধু তাই নয়, অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও হবে।
আমার জেলা বাগেরহাটের দর্শনীয় স্থানে অনেক লোক সমাগম হবে বলে আমি ধরে নিচ্ছি। বিশ্ব ঐতিহ্যের ষাটগম্বুজ মসজিদ ও সুন্দরবন আমাদের বাগেরহাটে অবস্থিত। দুটি স্থানেই অনেক ভ্রমণপিপাসু মানুষ আসবে কারণ ঢাকা থেকে খুব সহজেই বাগেরহাট আসা যাবে। আমাদের জেলায় অনেক প্রাচীন মসজিদ রয়েছে, সেগুলোতেও দর্শনার্থী বাড়বে।
অনেক সময় স্কুলের শিক্ষা সফরের জন্য এমন স্থান নির্ধারণ করা হয় যেখানে গিয়ে একদিনেই ফেরা সম্ভব। এখন পদ্মা সেতুর জন্য সময় বাঁচানো যাবে বলে হয়ত দূরের জেলাগুলোর স্কুলগুলোও আমাদের এদিকে শিক্ষা সফরে আসতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে।
সেতু চালুর আগের থেকেই পদ্মার এপারে গড়ে উঠতে শুরু করে নানা কলকারখানা। এগুলো এখন হয়ত পুরোদমে চালু হবে। আমার জেলা যে নানা দিক দিয়েই বদলে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।