৭৫ বছর পূর্ণ করল দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিনি ছাত্র-ছাত্রীদের নেতা থেকে এখন বিশ্ব নেতা।
তার দর্শন, আদর্শ, জীবনযাত্রা বরাবরই আমাকে আকর্ষিত করে। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, ডিজিটাল বাংলাদেশ, বিশ্ব দরবারে আমার দেশকে তুলে ধরা, ক্রীড়া প্রেম আর তার সাদামাটা জীবনের নানা দিকই আমার ভালো লাগে।
তার এবারের জন্মদিনটি আমার কাছে একটু বিশেষ। প্রধানমন্ত্রীকে সামান্য উপহার দিতে পারলাম বলেই মনে হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘শেখ হাসিনা: এ ট্রু লিজেন্ড’ নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র উন্মুক্ত করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বৈষ্টমী। প্রামাণ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছেন আয়শা এরিন। আমি নিজেও এই প্রামাণ্যচিত্রের একটি অংশ হতে পেরেছি।
আমি হ্যালোতে শিশু সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের একজন ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করি। তাই যোগ দেই এই প্রামাণচিত্র নির্মাণ দলের সঙ্গে।
‘শেখ হাসিনা: এ ট্রু লিজেন্ড’ প্রামাণচিত্রটিতে অন্যদের সঙ্গে আমিও নেপথ্য কণ্ঠ দিয়েছি, কাজ করেছি ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হিসেবেও।
বিদেশি গণমাধ্যম যেভাবে শেখ হাসিনার জীবন পরিক্রমাকে দেখে, তা প্রামাণ্যচিত্রটিতে স্থান পেয়েছে। বৈষ্টমী পরিবার মনে করে, এই নেতার জন্মদিন ঘিরে জনমনে উচ্ছ্বাস থাকুক। বাংলাদেশ গর্বিত হোক এই মনে করে যে, আমাদের একজন বিশ্বসেরা পর্যায়ের কিংবদন্তিতুল্য নেতা রয়েছেন।
এই কাজের অভিজ্ঞতাটি আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই কাজটি করার আগে ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে আমার আরও ভালো করে জানতে হয়েছে। এজন্য পড়াশোনা করতে হয়েছে, পরিশ্রম করতে হয়েছে।
শেখ হাসিনাকে যদি আমার চোখে তুলে ধরতে বলা হয় তবে আমি বলব শিশুদের নিয়ে তার ভাবনার জগৎ বেশ প্রসারিত। শিশুদের খেলার মাঠ নিয়ে তিনি বেশ সোচ্চার। তিনি প্রায়ই বলেন শিশুদের বাইরে নিয়ে যেতে, শিশুদের খেলার সুযোগ করে দিতে। আরেকটি কথা তিনি বারবারই বলেন, অভিভাবকরা যেন শিশুদের উপর পড়াশোনার চাপ না দেন।
সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এক ভিন্ন আঙ্গিকে আবিষ্কার করার সুযোগ হলো। তাকে নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেলাম। আমার কাজটুকু প্রধানমন্ত্রীকে তার জন্মদিনে উপহার হিসেবে উৎসর্গ করলাম।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: ঢাকা।