এসএসসি পরীক্ষার কয়েকদিন পরের কথা। আমার মাধ্যমিক স্কুলের এক সহপাঠী আমাকে কল দেয়।
তার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি সে উচ্চ্ মাধ্যমিকের প্রস্তুতি হিসেবে বেশ কয়েকটা প্রাইভেট পড়তে শুরু করেছে, তার পাশাপাশি একটি কোচিং সেন্টারেও ক্লাস করছে।
সে আমাকে কল দিয়েছে পদার্থ বিজ্ঞান পড়ার জন্য আরেকজন শিক্ষক খুঁজে দেওয়ার বিষয়ে। আমি সমবয়সী বলে আরও কিছু কথাও সে আমার সঙ্গে ভাগাভাগি করল।
সে জানায়, একটি অলাভজনক সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে সে কাজ করত, কিন্তু এখন আর সে কাজ করতে পারছে না। পড়াশোনার এত চাপে বাইরের কোনোকিছুতেই সে আর মনযোগ দিতে পারছে না।
তার ঘটনাটা জানার পর থেকে আমি ভাবছিলাম আমাদের অভিভাবকরা তো শুধুই আমাদের কাছে ভালো ফলাফল করে। আমরা কতটা মানবিক হয়ে গড়ে উঠলাম, কতটা ভালো মানুষ হলাম- তা ভাবেন না অনেক অভিভাবকই।
সহশিক্ষা আমাদের এগিয়ে রাখে, এটা সবারই বোঝা উচিত। পড়াশোনার বাইরেও একটি শিশুর অনেক কিছু করার আছে। আমি বলছি না যে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার দরকার নেই। অবশ্যই এটি দরকারি, তবে দিনভর শুধু প্রাতিষ্ঠানিক পড়ার পেছনেই লেগে থাকতে হবে এটা বেশ বোকামি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: কিশোরগঞ্জ।