'এক বছর অপেক্ষার পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরে হ্যালোর শিশু সাংবাদিকতার কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাই। এই কর্মশালায় অংশ নিয়ে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।'
Published : 31 Mar 2024, 09:17 PM
ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি বাবা বাসায় থাকলে সারাক্ষণ টিভিতে খবরের চ্যানেল দিয়ে রাখেন। তাই ওই বয়সেই মনের অজান্তে খবর দেখার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। কার্টুন না দেখে, বাবার সঙ্গে খবর দেখতাম।
২০১৫ সালের দিকে এক ঝড়ের দিনে আমাদের টিভি নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকে বাবা বাসায় পত্রিকা নিয়ে আসতে শুরু করেন। আমার বয়স তখন পাঁচ বছর মাত্র। ভাঙা ভাঙা উচ্চারণে পত্রিকা পড়া শুরু করি।
শুধু যে খবর পড়ে রেখে দিতাম, তা নয়। মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আয়নাকে টিভি কল্পনা করে সংবাদ পাঠকদের মতো করে পত্রিকা পড়ার চেষ্টা করতাম।
২০২১ সালে আমার বড় বোনের কাছ থেকে জানতে পারি সে ‘হ্যালো’ নামের একটি শিশু সাংবাদিকতার প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এটা শুনে আমারও প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার ইচ্ছে হলো। কিন্তু সেবছর আর সুযোগটা মেলেনি।
এক বছর অপেক্ষার পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরে হ্যালোর শিশু সাংবাদিকতার কর্মশালায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাই। এই কর্মশালায় অংশ নিয়ে আমি অনেক কিছু শিখতে পেরেছি।
হ্যালো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারি এই কর্মশালা থেকেই। শিশুদের এই সংবাদমাধ্যমটি ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে। দেশের সর্ববৃহৎ ইন্টারনেট সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এটি। যার সঙ্গে অংশীদারত্বে রয়েছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল- ইউনিসেফ।
সেই কর্মশালায় অনেক কিছু জানা ও হাতে-কলমে শেখার পর হ্যালোর সঙ্গে আমার আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়। কখনো ভাবিনি আমি সত্যিই সাংবাদিক হতে পারব, কখনো ভাবিনি হ্যালোতে আমার লেখা প্রকাশ হবে।
আমাকে ও আমার মতো শিশুদের সাংবাদিক হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য হ্যালোর প্রতি আমি অনেক কৃতজ্ঞ।
আজ হ্যালোর একাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। হ্যালোর জন্য আমার শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রইল।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৩। জেলা: কুড়িগ্রাম।