চুরি, ছিনতাইয়ের নানা ঘটনা মাঝেমধ্যেই শুনে থাকি আমরা। সংবাদমাধ্যমে দেখেছি, এই কাজগুলোর সঙ্গে অধিকাংশ সময়ই মাদকাসক্ত কিশোর-তরুণরা জড়িত।
একদিন সন্ধ্যার পর ঢাকা সেনানিবাস থেকে দূরপাল্লার বাসে চড়ে এক জায়গায় যাচ্ছিলাম। টঙ্গী-গাজীপুর যাওয়ার পর যানজটের কারণে বাস ধীর গতিতে চলতে শুরু করল। তখন এক যাত্রী ফোনে কথা বলার জন্য ব্যাগ থেকে ফোন বের করেন। তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই জানালা ধরে লাফ দিয়ে ফোনটি নিয়ে যায় একটি ছেলে।
ছেলেটি দেখতে হ্যাংলা-পাতলা, খুব বেশি একটা বয়স ছিল না। অনায়াসেই কিশোর ধরে নেওয়া যায়। তবে কি চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, খুন এগুলো কিশোররা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে? আমি মনে করি, এই ধরনের কিশোররা ওঠে এসেছে নিম্নবিত্ত কিংবা হতদরিদ্র পরিবার থেকে।
কেউ শিশুশ্রমে জড়িয়েছে নিজেদের কেউবা শ্রমের পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ মাদকের ভয়াল থাবা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারছে না। মাদকের খরচ জোগান দিতে অনেকেই বেছে নিচ্ছে অপরাধমূলক কাজ।
কম বয়সীদের অনেকেই টার্গেট করে তাদের বড় ধরনের অপরাধ সংগঠিত করার জন্য। তাই অনেক কিশোর ফাঁদে পড়েও অন্ধকার জগতে পা বাড়াচ্ছে। এই ধরনের অপরাধ বন্ধে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ঢাকা।