নারী দিবস এলে নারীদের অধিকার, সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে আমরা অনেক সোচ্চার হয়ে উঠি। কিন্তু আদৌ আমাদের দেশ নারীদের জন্য নিরাপদ হয়েছে কি?
প্রতিদিনই আমরা নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতার কথা শুনতে পাই। ঘটছে যৌন হয়রানির মতো ঘটনাও। কিন্তু এসবে কত জনকে ন্যায় বিচার পেতে দেখি? বেশির ভাগ সময় অপরাধীরা পার পেয়ে যাচ্ছে আমাদের সামনেই।
নারীরা পাশবিক নির্যাতন কিংবা যৌন হয়রানির শিকার হলে, তাদের জীবন ভীষণ হুমকির মুখে পড়ে। তাদের পক্ষে ঘুরে দাঁড়িয়ে নতুন জীবন শুরু করা সহজ হয় না।
আবার নির্যাতনের শিকার নারীদের অনেক সময় সমাজ ও পরিবার থেকেও কটু কথা শুনতে হয়। যা তাদের মানসিক ভাবে আরও দূর্বল করে দেয়। এছাড়া অনেক সময় দেখা যায়, নির্যাতনের শিকার নারী ও তার পরিবার সমাজ থেকে কোনো সহযোগিতা পায় না।
মানসিক ভাবে ভেঙে পড়তে পড়তে এক সময় আত্মহত্যা করেন অনেক নির্যাতিত নারী। অথচ নির্যাতনকারীর সঠিক সাজা হওয়ার দৃষ্টান্ত খুবই কম।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য মতে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে ৯৭৫ জন নারী পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন। যৌন নির্যাতনের শিকার হন আরও ১৬১ জন।
এই ধরনের পরিসংখ্যানগুলো বলে দিচ্ছে, বাংলাদেশে নারীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। আরও সহজ করে বললে, আমাদের সমাজ এখনো নারীদের জন্য নিরাপদ নয়।
নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের আরও সোচ্চার হতে হবে। আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: রংপুর।