মাঠে কেন খেলতে হবে

ইউনিসেফের এক জরিপ বলছে, ১৩ শতাংশেরও বেশি কিশোর-কিশোরী মানসিক ব্যাধি নিয়ে বসবাস করে।
মাঠে কেন খেলতে হবে

আমাদের উচিত খেলাধুলাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা। বর্তমান যুগে, আমরা আসলে প্রত্যেকেই বন্দি জীবন পার করছি। আর আমাদের বন্দি করে রেখেছে নানা ধরনের প্রযুক্তি।

এখন শিক্ষার্থীরা হয় তাদের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে বা মোবাইল ফোন নিয়ে তাদের সময় পার করে। তারা ভুলে যায় যে বাইরে খেলাধুলা করাও তাদের আনন্দ দিতে পারে। খেলাধুলা মানসিক সতেজতা তৈরি করতে সাহায্য করে।

মানসিক স্বাস্থ্যের বিকাশে খেলাধুলার প্রভাব যে কতটা, তা নিয়ে চলছে নানা ধরনের গবেষণা। কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাধির জন্য খেলাধুলা কমে যাওয়া, বড়দের নিয়ন্ত্রণ, এবং বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে জড়িত না হওয়া দায়ী।

অভিভাবকেরা হয়ত ভালো উদ্দেশ্য নিয়েই নিয়ন্ত্রণ করতে চায় আমাদের। তবে তাদের মনের অজান্তেই আমরা হয়ে যাচ্ছি ঘরবন্দি। যা আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য মোটেও সহায়ক নয়। খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে নিজেকে স্বাধীন ভাবার সময়টাই হারিয়ে যাচ্ছে।

আরেকটি বড় সমস্যা হলো, আমরা খেলাধুলা করব কোথায়? প্রতিটা এলাকায় খেলার মাঠ থাকা একান্তভাবে প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশ উন্নয়নশীল দেশ হতে যেয়ে হারিয়ে যাচ্ছে খোলামেলা জায়গাগুলো।

এমনকি খেলতে বের হলেও তাদের ফিরে আসতে হচ্ছে বাড়িতে। খেলাধুলা থেকে দূরে সরে আসায় শিশুরা হয়ে পড়ছে প্রযুক্তির উপর নির্ভর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা বিশ্বব্যাপী মৃত্যুহারের চতুর্থ প্রধান ঝুঁকির কারণ। ইউনিসেফের এক জরিপ বলছে, ১৩ শতাংশেরও বেশি কিশোর-কিশোরী মানসিক ব্যাধি নিয়ে বসবাস করে।

খেলাধুলা আমাদের প্রকৃতির সাথে মিশতে শেখায়। এটি আমাদের গতিশীল করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের খেলাধুলা করা বাধ্যতামূলক। খেলাধুলার ভেতর যে আনন্দ থাকে তা শিশুমনের পরিপূর্ণ বিকাশে সহায়ক। আমরা চাইলেই অল্প জায়গার মধ্যেও খেলতে পারি।

একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, শৈশব হলো মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। জীবনের নতুন সব অভিজ্ঞতাগুলো মানসিক স্বাস্থ্য এবং বিকাশের উপর বেশি স্থায়ী প্রভাব ফেলে।

প্রতিবেদকের বয়স: ১৫। জেলা: ঢাকা।

এ সম্পর্কিত খবর

No stories found.

সর্বাধিক পঠিত

No stories found.
bdnews24
bangla.bdnews24.com