শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যের উপর। আমি বিভিন্ন লেখা পড়ে জেনেছি, শব্দদূষণের প্রভাবে মানুষের শ্রবণ শক্তি ও স্মরণ শক্তি লোপ পাচ্ছে।
Published : 23 Mar 2024, 07:50 PM
পরিবেশ দূষণের কথা বললে প্রথমেই মাথায় আসে বায়ু, পানি ও মাটির দূষণের কথা। কিন্তু এসবের মতো শব্দদূষণও রীতিমতো আমাদের ক্ষতি করে চলেছে।
আমাদের পুরো পরিবেশকে নীরব ঘাতকের মতো ক্ষতিগ্রস্ত করছে শব্দদূষণ।
রাস্তাঘাটে বিনা কারণে হর্ণ বাজিয়ে শব্দদূষণের মাত্রাকে বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে। এর সঙ্গে আছে উচ্চস্বরে মাইকিং ও গান বাজানো। নির্বাচন বা যেকোনো প্রচারের কাজে দিন-রাত মাইকের ব্যবহার মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে ব্যাহত করছে।
শহরের মতো গ্রাম অঞ্চলেও শব্দদূষণের মাত্রা বাড়ছে। শহরের সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক সিগনাল বাতি ও ট্রাফিক পুলিশ সক্রিয় থাকলেও গ্রামের দিকে এখনো এমনটা নেই। ফলে গ্রামের রাস্তায় কিংবা বাজারে চালকরা কোনো নিয়ম না মেনেই গাড়ি চালান। এতে সৃষ্টি হয় জ্যাম আর চালকরা ইচ্ছে মতো হর্ণ বাজাতে থাকেন। এভাবেই বেড়ে যাচ্ছে শব্দদূষণের পরিমাণ।
শব্দদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যের উপর। আমি বিভিন্ন লেখা পড়ে জেনেছি, শব্দদূষণের প্রভাবে মানুষের শ্রবণ শক্তি ও স্মরণ শক্তি লোপ পাচ্ছে। উচ্চ শব্দের কারণে স্নায়ুর ও হৃদরোগের সমস্যা বাড়ায়, এমনকি মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি করতে পারে।
শব্দদূষণের ফলে স্কুল শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সবাই নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় পড়ছে। এভাবেই যদি দূষণের পরিমাণ দিন দিন বাড়তে থাকে, তাহলে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের স্বাভাবিক জীবন নষ্ট হতে থাকবে।
তাই দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এই সমস্যা রোধ করা জরুরি বলে আমি মনে করি।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৬। জেলা: জামালপুর।