
আমরা মাঝে মাঝে সবকিছু থেকেই মনযোগ হারিয়ে ফেলি। কাজ করতে, খেতে বা আড্ডা দিতে- কোনোকিছুই ভালো লাগে না।
এরকম হলে আমাদের অনেকেরই বাবা-মায়েরা বকাবকি করেন। সন্তান অলস হয়ে গেছে বলে তারা ধরে নেন। কিন্তু সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের খবরটা নিতে চান না।
শুধু যে অলসতার জন্য একজন শিশু বা কিশোর এমন করতে পারে, তা সঠিক নয়। তার মন খারাপ থাকতে পারে, এমনকি সে বিষন্নতায়ও ভুগতে পারে। সে নানা মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়েও যেতে পারে।
অভিভাবক হিসেবে বাবা-মায়েদের উচিত শিশুদের সমস্যাগুলো শনাক্ত করা। শিশুকে যদি বকাবকি করা হয় তবে সে কষ্টগুলো নিজের মধ্যেই জমিয়ে রাখবে। এটাই তো হওয়ার কথা। কিন্তু শিশুর সঙ্গে যদি বন্ধুর মতো মেশা যায় তবে তার ভেতরে প্রবেশ করা খুবই সহজ।
আমাদের অনেকের বাবা-মায়েরাই সন্তানদের সঙ্গে কোনোকিছু নিয়ে আলোচনা করার ধৈর্য রাখেন না। সবসময় একটা দূরত্ব তৈরি হয়েই থাকে তাই শিশুটি যদি কোনো মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়েও যায় তবুও সেটা বাবা-মাকে জানাতে চায় না।
মনোবিদরা বলেন. অলসতা হতাশার একটা লক্ষণও হতে পারে। আর শিশুদের মধ্যে যদি হতাশা চলে আসে তা খুবই খারাপ। এটার সমাধান অভিভাবকদের কাছেই রয়েছে।
সন্তানের জ্বর হলে মা-বাবা ওষুধ এনে দেন। কিন্তু মানসিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করলে সেটার কোনো গুরুত্ব দিতে চান না। এটা আমাদের দেশের বাস্তবতা। বেশিরভাগ মানুষই মনোস্বাস্থ্য বলতে একটি জিনিস আছে তা বুঝতে চান না। আমাদের মা-বাবাদের উচিত হবে বন্ধু হয়ে সন্তানের পাশে থাকা।
প্রতিবেদকের বয়স ১৪। জেলা: ঢাকা।