টাকা জমানোর অনুভূতিটা সত্যিই চমৎকার।
Published : 21 Jan 2023, 12:41 PM
মা-বাবা আমাকে সবসময়ই টাকা জমাতে বলেন। কিন্তু
নিজের কাছে টাকা জমানোটা খুবই কষ্টকর, কোনো না কোনোভাবে টাকাটা খরচ হয়ে যায়।
একদিন মা আমাকে ব্যাংকে নিয়ে গেলেন। সেখানে গিয়ে একটা অ্যাকাউন্ট খুলে আসলাম আমরা। প্রথমে আমাকে ১০০ টাকা জমা দিতে বলা হলো। সব নিয়ম মেনে আমরা অ্যাকাউন্টটা চালু করে তারপর বাসায় ফিরি।
আমি মূলত টিফিনের টাকা থেকে কিছু টাকা এই অ্যাকাউন্টে জমা রাখি। আমার বন্ধুরাও স্কুল ব্যাংকিংয়ে আগ্রহী হয়ে অ্যাকাউন্ট চালু করেছে। এখন তারাও আমার সঙ্গে টাকা জমা করে।
প্রতি সপ্তাহে বাবা আমাকে যে টাকা দেয় এবং আমার জমানো টাকা নিয়ে একসঙ্গে করে সেটা ব্যাংকে জমা রাখি। আমি ভেবে রেখেছি যখন আমার অনেক টাকা হবে তখন আমি এই টাকা দিয়ে একটি ক্যামেরা কিনব।
আমার মতো আমার বন্ধুদেরও অনেক স্বপ্ন আছে। তারাও প্রতি সপ্তাহে বা মাসে আমার সঙ্গে গিয়ে টাকা জমা দেয়। যেদিন অনেক টাকা জমা হবে তারাও শখের জিনিস কিনবে এটা দিয়ে।
টাকা জমা দেওয়ার জন্য ব্যাংকে গিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। তারপর ব্যাংকের কর্মকর্তারা কাগজটা চাইলে আমরা টাকাটা জমা দেই।
স্কুল ব্যাংকিং পদ্ধতিটা যখন আমাকে আকর্ষণ করেছিল তখন আমি অ্যাকাউন্টটা চালু করি। কিন্তু প্রথম প্রথম আমি অনেক ভয় পেতাম। কিন্তু ব্যাংকের সবার ব্যবহার আমার ভয় দূর করে দিয়েছে।
টাকা জমানোর অনুভূতিটা সত্যিই চমৎকার। ভাবতেই ভালো লাগে যে, এখন আমিও টাকার মালিক। মাঝে মাঝে কোনো বিপদের কথা মনে হলে টাকাগুলোর কথা মনে পড়ে। নিজেকে আত্মবিশ্বাসী মনে হয়।
সময়মতো সঞ্চয় না করলে ভবিষ্যতে অনেক শিক্ষার্থী বিপদে পড়তে পারে। অর্থের অভাবে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া যায় না, কখনো পড়াশোনা বন্ধ হওয়ারও উপক্রম হয়। যেহেতু সব বাণিজ্যিক ব্যাংকে 'স্কুল ব্যাংকিং' খোলার সুযোগ আছে তাই আমাদের টাকা জমানোর অভ্যাসটা করা উচিত।
প্রতিবেদকের বয়স: ১২। জেলা: সিরাজগঞ্জ।