ঘড়ির কাটায় তখন সকাল ৭টা ৫৫ মিনিট। মা এসে জানালার পর্দা সরিয়ে নেয়। রোদের হালকা আঁচ এসে লাগে মুখের উপর। তাতেই ঘুম ভাঙে।
একই সময়ে কানে ভেসে এল কোকিলের কুহু কুহু গান। বাড়ি লাগোয়া শিমুল গাছটাও লাল লাল ফুলে ছেঁয়ে গেছে দেখে মনে হলো, বসন্ত এসে গেছে।
এবার পহেলা ফাল্গুনেই ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার উৎসব। আমার স্কুলে পূজার আয়োজন হয়। সেজেগুজে তৈরি হয়ে স্কুলে রওনা হই।
পূজা দেখা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে আবির উৎসবে মেতে উঠি। এই সময় লক্ষ্য করলাম দূর হতে চার-পাঁচ জন পথশিশু আমাদের দেখছে। তাদের দেখে খুব মায়া হলো। আমি ডেকে নিয়ে আবির খেলায় যুক্ত করি। এরপর তাদের নিয়ে এক সঙ্গে দুপুরের খাবার খাই।
সেখান থেকে চলে যাই শিল্পকলায়। সেখানে গান-নাচ-আবৃত্তি উপভোগ করি বেশ কিছুটা সময়।
বিকেলে পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে বের হই। এভাবেই আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে কাটে আমার পহেলা ফাল্গুনের দিন।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৪। জেলা: কুড়িগ্রাম।