আমার জেলা কুড়িগ্রামের বিভিন্ন গ্রামে, আমি মেয়ে শিশুদের পাশাপাশি ছেলেদেরও বাল্যবিয়ে হতে দেখেছি।
Published : 23 Mar 2024, 07:18 PM
আমাদের সমাজে মেয়েরাই বেশি বাল্যবিয়ের শিকার হয়। এ কারণে বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিক নিয়ে যখন আলোচনা করা হয় তখন শুধু মেয়েদের কথাই আসে।
আমার জেলা কুড়িগ্রামের বিভিন্ন গ্রামে, আমি মেয়ে শিশুদের পাশাপাশি ছেলেদেরও বাল্যবিয়ে হতে দেখেছি।
আমাদের দেশে ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ বছর। কিন্তু আমি গ্রামে ছেলেদের সাধারণত ১৬ বছর থেকে ২০ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে হতে দেখেছি। গ্রাম ও চর অঞ্চলেই এই ধরনের ঘটনা বেশি দেখা যায়।
শুধু কি তাই? ১৬ থেকে ২০ বছর বয়সী ছেলেটার সঙ্গে যার বিয়ে হচ্ছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, সেই কনেও কিন্তু কিশোরী। অর্থাৎ, একসঙ্গে দুইটি বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটছে প্রায়ই।
বাল্যবিয়ের শিকার মেয়েদের ক্ষতি অবর্ণনীয়। তবে ছেলেদের বাল্যবিয়ের কারণেও নানা ধরনের সমস্যা তৈরি হতে দেখেছি আমি।
কম বয়সে সংসারের আর্থিক জোগান দিতে ছেলেদের পড়াশোনা বন্ধ রেখে উপার্জনে নামতে হয়। আবার কর্মের অভাবে অনেক সময় তারা অনৈতিক উপার্জনের দিকেও পা বাড়ায়। এক সময় নানা ধরনের হতাশা ঘিরে ধরায় বিভিন্ন ধরনের নেশাতেও আসক্ত হয় অনেকে।
কখনো কখনো দেখা যায়, যৌতুকের জন্য স্ত্রীকেও চাপ দেয় এই ছেলেরে। এভাবে ধাপে ধাপে মানসিক ও পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি হলে ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই স্বাভাবিক জীবন বিনষ্ট হয়।
ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্যেই বাল্যবিয়ে ক্ষতিকর। আইনের বাইরে গিয়ে অপ্রাপ্ত বয়সে কোনো ছেলেরও যেন বাল্যবিয়ে না হয়, সে জন্যও সচেতনতা বাড়াতে হবে।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: কুড়িগ্রাম।