বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ভাবতে বসি, কি কি করব, কোথায় ঘুরতে যাব আরও কত কিছু।
অনেকেই চলে যায় নানা বাড়ি বা দাদা বাড়িতে। যারা শহরে থাকে তাদের কথা বললাম। তোমরা কি জানো গ্রামের শিশুরা এসময় কি করে?
আমি জামালপুরের এক গ্রামে থাকি। গ্রামের ছেলেমেয়েরা সারাবছরই খেলাধুলা করে। তবে বার্ষিক পরীক্ষা শেষে শীতকাল এলেই খেলায় আর কোনো বাধা থাকে না। নতুন ক্লাসের বই না পাওয়া পর্যন্ত লম্বা ছুটিতে সারাদিন খেলাতে মেতে থাকে ওরা।
সকাল হতেই দেখা যায়, কোনো কোনো বাড়িতে ভাপা পিঠা বানিয়ে বেচা হয়। তার সামনে শিশদের ভিড়। এরপর সূর্য একটু উঁকি দিলেই খোলা মাঠে শুরু হয় রোদ পোহানর ধুম।
একদিন বিকেলে আমার পড়ার ঘর থেকে বাচ্চাদের কোলাহল শুনতে পাই। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি ফাঁকা মাঠে বাচ্চারা খেলছে।
বের হয়ে সেখানে গেলাম। গিয়ে দেখি ২০-২৫ জন শিশু খেলাধুলা করছে। কয়েকজন মাঠের এক পাশে বৌছি... খেলছে, কয়েকজন খেলছে গোল্লাছুট। আবার কয়েকজনকে দেখলাম দাড়িয়াবান্ধা খেলতে। একদমই ছোট যারা তারা আবার খেলছে কানামাছি। পাশেই অনেকে মার্বেল, ডাংগুলি খেলছে।
সারা দিনের এই খেলায় মেতে থাকা নিয়ে মা বাবারা বকাঝকা করতে থাকেন। আফরোজা বেগম নামের একজন মা বলেন,"হারাদিন খালি খেলার ধান্দায় থাহে (থাকে), খাওয়া-দাওয়া, গোসলের কতা (কথা) খেল (খেয়াল) থাহে না।
ছবি তুলে আসার সময় এক শিশু পেছন থেকে ডাক দিয়ে বলে "কালকে আহিয়েন (আসবেন) কলা গাছের খোল দিয়ে ইট ভাটা বানামু।"