সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে আমি কোডিং, শিশু সাংবাদিকতা, আবৃত্তি করি। এছাড়া গণিতের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করতেও আমার ভালো লাগে।
কোডিংয়ে আমার হাতে খড়ি হয় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়। আমার স্কুল থেকে কোড ক্লাব বাংলাদেশের মেহনাজ শারমীন মোহনা আপু আমাকে কোডিং শিখিয়েছিলেন। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ‘জাতীয় শিশু কোডিং ফেস্ট-২০১৭’ তে সারা দেশের শিশুদের মাঝে কোডিংয়ে প্রথম স্থান অর্জন করি।
এ নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ বেশ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম আমাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে যা আমাকে উৎসাহ দেয়। তখন আমি স্ক্র্যাচ টুল নিয়ে কাজ করতাম। এখন অবশ্য পাইথন দিয়েও প্রোগ্রামিং করি। আমি বিভিন্ন ইউটিউব ভিডিও দেখে পাইথন শিখছি।
আমার বাবা এক সময় সাংবাদিকতা করতেন। এখন শিক্ষকতা করেন। আমি তার কাছ থেকেই জেনেছি সাংবাদিকতা সম্পর্কে। একদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ওয়েবসাইটে হ্যালোর রেজিস্ট্রেশন লিঙ্ক দেখে শিশু সাংবাদিকতায় রেজিস্ট্রেশন করি। হ্যালোর শিশু সাংবাদিকতার সহজপাঠ ই-বুক পড়ে ও সহকর্মীদের সাথে কথা বলে আমি সাংবাদিকতা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি। পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখির মাধ্যমে নিজের মত প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি এখানে।
কবিতা আবৃত্তি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। অবসরে আমি কবিতা পাঠ করি। আমি মূলত আমার পাঠ্যবইয়ের কবিতাগুলোই আবৃত্তি করে থাকি। এতে আমার পড়ালেখাতেও অনেক উপকার হয়। আবৃত্তির জন্য প্রথমে কবিতা বুঝতে হয় এবং মুখস্ত করতে হয়। তাই বাংলা সাহিত্যের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর লেখা আমার জন্য সহজ হয়ে যায়।
এবার বলি আমার অনেক অনেক প্রিয় বিষয় গণিতের কথা। আমার লেখাটি পড়ে অনেকে মনে করতেই পারেন অংক কষা আবার প্রিয় হয় কীভাবে? কিন্তু আমি মনে করি পৃথিবীতে সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে গণিত।
পাঠ্যবইয়ের গণিতের সমস্যা গুলোর পাশাপাশি আমি আরো অনেক সমস্যার সমাধান করি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারও পোস্টে যদি আমি গণিত বিষয়ে কিছু দেখি তাহলে সেগুলোরও সমাধান করি।
গণিতের কোনো একটা সমস্যা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভাবতে আমার ভালো লাগে। আমি ইউটিউবে চমক হাসান নামক একজন লেখক ও গবেষকের ভিডিও দেখে গণিতের মজাটা আরো ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছি।