সেখানে ঘটে যাওয়া একটি বিষয়কে আমি সামনে আনতে চাই। এটি ছিল নাচের একটি অনুষ্ঠান। কিন্তু তাতে নাচ যতটা ছিল তারচেয়ে বেশি ছিল দুজন স্থুল শিশুকে বডি শেইমিং করা।
একবার একটি ফেইসবুক লাইভে দেখলাম উপস্থাপিকা স্থুল মানুষকে কটুক্তি করে যাচ্ছেন। এতে আবার অনেকেই আনন্দ পাচ্ছে্ন। সেটার প্রতিক্রিয়া মন্তব্যের ঘরে জানাচ্ছেন। তারাও সামিল হচ্ছে এই গর্হিত কাজের সঙ্গে।
প্রাত্যহিক জীবনেও অনেকে মানুষের শারীরিক গঠন নিয়ে তাকে হেনস্তা করে। সবার কাছে এটা মজার হলেও যাকে নিয়ে করা হচ্ছে সে হলো ভিক্টিম। তার মনের কথা কেউ ভাবে না কখনো।
মজা করে বা যেভাবেই হোক, মোটা বা চিকন হওয়ার কারণে কাউকে এভাবে বুলি করলে তার একটা না একটা সময় খারাপ লাগেই। তার এই খারাপ লাগাকে আমরা পাত্তা দেই না বা হেসে উড়িয়ে দেই।
নতুন বিয়ের পর মেয়েটা যদি বলে তার মন খারাপ, এটাও অনেকের কাছে হাসির খোরাক। কিন্তু উন্নত বিশ্বে মন খারাপকেও বেশ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। মানসিক স্বাস্থ্যের কথা তারা শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
আমাদের দেশে মন খারাপের মূল্য নেই বলে যে কাউকে হেয় করলে তার মন খারাপ হয় না বিষয়টা এমন নয়। আমাদের মজা করে বলা কথাগুলোই হয়ত তার জন্য মানসিক বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
সব রসিকতার একটা সীমা আছে। বন্ধুদের মধ্যে হয়ত অনেক ঘনিষ্ঠতা থাকে, অনেক দুষ্টুমি মজা হয়ে থাকে। কিন্তু সেখানেও মজার একটা সীমা থাকা উচিত। এই মজা যেন তাকে হেয় করা বা আঘাত করা না হয়। জীবনে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে শরীরের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হলো মন। শারীরিক লাঞ্ছনার পাশাপাশি কাউকে মানসিক লাঞ্ছনা করাও নৈতিক দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ।