প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি কিংবা কাজী অনেক সময়ই সামান্য কিছু টাকার কাছেও বিক্রি হয়ে যায়। ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরি ও বিয়ে পড়ানোর মতো ঘটনা ঘটে একটি শিশুর সাথে।
অনেক সময় বেশ গোপনে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বাল্যবিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাতে হয়। প্রশাসন যাতে খোঁজ না পায় তাই তারা এই ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়।
কিন্তু পাড়া বা এলাকায় যখন একটি বিয়ে হয় সেটা যত গোপনেই হোক প্রতিবেশি বা ওই সমাজের অনেকেই সেটা জানতে পারে। তবে আমাদের মধ্যে প্রতিবাদের বিষয়টি কমে গেছে। আমরা হয়ত প্রতিবেশির সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে বলে কিছু বলি না।
তবে এখানে আমাদেরও দায়িত্ব রয়েছে। বাল্যবিয়ের দাওয়াত পেলে সেখানে যাওয়া উচিত নয় আমাদের। তাদেরকে যদি কোনোভাবে বোঝানো যায় যে, শিশুর বিয়ে বলেই আমরা অংশগ্রহণ করিনি তবে নিশ্চয় লজ্জাবোধ করবে।
আমরা স্বাভাবিকভাবেও বোঝাতে পারি, বাল্যবিয়ে কতটা জঘন্য একটি কাজ এবং এটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। শিশুটির কতটা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হবে এটা বোঝানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
তবে সবশেষে আরেকটি কাজ করতে পারি আমরা। হেল্পলাইন ‘১০৯’ নম্বরে কল করে প্রশাসনকে জানাতে পারি। এক্ষেত্রে অবশ্যই তারা তথ্যদাতার পরিচয় গোপন রাখবে।
সামাজিক ভাবে বাল্যবিয়েকে হেয় করা, এড়িয়ে চলা, বয়কট করা কিংবা রুখে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। দেশের কথা চিন্তা করে আমাদের অতটুকু এগিয়ে আসতে হবেই।